Bangla Golpo: মেয়েটি ৬

Bangla Golpo-Bangla New Golpo-Bangla Choto Golpo-Bangla Love Story-Bangla Valobasar Golpo-বাংলা গল্প



Bangla Golpo: মেয়েটি।

(ষষ্ঠ পর্ব)

.

বেলা এগারোটার দিকে আশফাক সাহেব এলেন। তাঁকে দেখে খুশি খুশি লাগছে৷ যেন কোনো একটা ব্যাপারে ভদ্রলোক বেশ খুশি৷ ব্যাপার কী? আমি ভালো করে তাকাতেই দেখলাম তাঁর হাতে কিছু একটা৷ মিষ্টির প্যাকেট নাকি? আমি সোফাতে বসে থেকেই আঙ্কেলকে সালাম দিলাম। তিনি হাসি মুখে সালাম নিলেন৷ আমার পাশে এসে বললেন,

-খবর কী তোমার? 

-আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷ আপনি কেমন আছেন? 

তিনি হেসে দিয়ে বললেন,

-আমার খবর বেশ ভালো৷ এরচে ভালো আমি আর কোনো দিনই থাকি নাই৷ 

সাদিক সামনের সোফায় বসে বলল,

-তা এতো আনন্দের কারণ কী চাচা? সাথে যে মিষ্টি নিয়েও এলেন? 

কথাটা শুনেই তিনি হো হো করে হেসে দিয়ে বললেন,

-বড় মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই খবরটি কি অতি আনন্দের নয়?

সাদিক অবাক স্বরে বলল,

-তমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে?

-হ্যাঁ বাবা৷ সব ফাইনাল৷ আগামি মাসের পাঁচ তারিখে বিয়ে৷

-আরে বাহ! এটা তো খুব খুশির খবর৷ কই মিষ্টি দিন?

ভদ্রলোক নিজে উঠে গিয়ে সাদিকের হাতে মিষ্টি দিলেন৷ আমাকে একটা দিলেন৷ বললেন,

-এই প্যাকেটটা রেখে দাও৷ এটা স্পেশালি তোমাদের জন্যে।

কথাটা বলে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, 

-শোনো, তুমি জলদি করে সুস্থ হয়ে নাও৷ বিয়ের যাবতীয় কাজ তোমাদের দু'জনকেই করতে হবে৷ আমার বাবা ছেলেপুলে নেই৷ তাই আমার একান্ত অনুরোধ তোমরা সেই দায়িত্বটা পালন করো৷ কী করবে না?

আমি মৃদু হেসে বললাম,

-অবশ্যই করবো৷ আপনি চিন্তা করবেন না৷ 

আশফাক সাহেব প্রাণবন্ত হয়ে হাসলেন৷ বললেন,

-যাক, তাহলে আমার কাঁধ থেকে কিছুটা ভার কমবে।

কথাটা তিনি বলে শেষ করলেন ঠিক সেই মূহুর্তে ছোট্ট একটি মেয়ে এসে বলল,

-ফুফা? নিচে চলেন। বড় আফা অজ্ঞান হইয়া গেছে?

আচমকা এমন খবর পেয়ে তিনি হকচকিয়ে গেলেন৷ কিছুই বলতে পারলেন না৷ এক প্রকার দৌড়ে গেলেন৷ সাদিক তাঁর পেছনে পেছনে চলল। সে হয়তো ভুলেই গিয়েছে আমি অসুস্থ৷ আমাকে অন্তত তার একবার বলে যাওয়া উচিত। অবশ্য বিপদ এলে কারোই হুশ থাকে না৷ আচ্ছা আমার কি যাওয়া উচিৎ? গিয়ে কী করবো? আমি উঠে দাঁড়ালাম। পা'টা কিছুটা স্বাভাবিক লাগছে। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার হাঁটতে অতোটা কষ্ট হচ্ছে না৷ ডান পায়ের উপর ভর বেশি পড়ছে৷ এই যা৷ আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে জানতে পারলাম ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত ডাক্তার৷ সাদিক এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে৷ বসার ঘরের খাটে তমা শুয়ে আছে৷ তার গায়ের উপর একটা পাতলা কাঁথা৷ মুখটা যেন অন্ধকার হয়ে আছে৷ আচ্ছা বেদনার রঙ কি কালো? তমা কি খুব কষ্টে আছে? তা না হলে তার চেহারা এমন কালো হয়ে আছে কেন? 


তমা চোখ মুখ বন্ধ করে পড়ে আছে৷ মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে যেন৷ তার মা প্রায় কেঁদে দিয়েছেন। ছোট বোনটা ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে মায়ের গায়ের সাথে মিশে আছে। আশফাক সাহেবকে বেশ চিন্তিত লাগল। তিনি মুখ লাল করে বসে আছেন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না৷ তাঁকে ভীষণ অস্থির লাগছে। সাদিক বলল,

-আঙ্কেল, আমরা হাসপাতাল চলে যাই৷ এটাই বেটার হবে। কি বলে?

আশফাক সাহেব কাঁপাকাঁপা স্বরে জবাব দিলেন,

-ডাক্তার দ্রুতই চলে আসবে৷ কাছেই তার বাসা৷ 

আমার মাঝে কেমন জানি একটা অস্বস্তিবোধ হলো। ভালো লাগছিল না৷ আমি বাসায় ফিরে এলাম৷ হঠাৎই আমার মনে হচ্ছে হাত পা অবশ হয়ে আসছে৷ বেশ ক্লান্ত লাগছে। আশ্চর্য ব্যাপার৷ এতো ক্লান্ত লাগার মানে কী? 

.

এই অস্বস্তিবোধটা রাত পর্যন্ত থাকলো৷ রাত নয়টার দিকে লারা ফোন করলো৷ তার সাথে বেশ কিছুটা সময় কথা বলে নিজেকে কেমন জানি হালকা লাগলো৷ এমনটা কি তমার কথা ব্যাপারে আলোচনা করায় হয়েছে নাকি এমনিই হয়েছে তা ঠিক ধরতে পারছি না৷ তবে আমার কাছে কিছুটা স্বস্তিবোধ হলো। আমি ডিনার করে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম এলো না৷ কাল রাতেও এমনটা হয়েছে৷ শেষ রাতে ঘুম এসেছে৷ তার আগ পর্যন্ত কেবল বিছানায় গড়িয়েছি৷ আজও কি এমনটা হবে নাকি? কে জানে। অনেকটা সময় চেষ্টা করার পর দেখা গেল আমার ঘুম এল না৷ অনেক চেষ্টা করার পরেও এলো না। আমি বাতি জ্বালালাম। একটা বই হাতে নিলাম৷ এই মূহুর্তে বই পড়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই৷ কিন্তু কী করবো? ঘুমও তো আসছে না৷ বই চোখের সামনে ধরতেই বড় বিরক্তি জাগলো৷ সাধারণত আমার এমনটা হয় না৷ বই পড়া শুরু করলেই আমি মোটামুটি জগৎসংসার ভুলে যাই৷ কিন্তু আজ তেমনটা হচ্ছে না৷ আজ যেন অন্যরকম কিছু ঘটছে৷ আমি বইটা নামিয়ে রাখলাম। পড়তে ইচ্ছে করছে না৷ আমি উঠে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালাম। বাইরে ঝকঝকে চাঁদের আলো৷ ঘটনা কী? আজ পূর্ণিমা নাকি? এই চাঁদের আলোটা গায়ে মাখতে বড় ইচ্ছে হলো৷ ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখলে বড় অন্যায় হবে৷ আমি সাদিকের ঘরে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম,

-আজ পূর্ণিমা নাকি রে?

সাদিক ফোনে কথা বলছিল বারান্দায় দাঁড়িয়ে। সে ফোন কানের পাশ থেকে সরিয়ে জবাব দিলো,

-নাহ, আজ নয়। কাল। 

-ছাদে যাবি?

-এখন?

-হ্যাঁ৷ চল একটু ঘুরে আসা যাক। সাদিক ফোন হাতেই এগিয়ে এলো৷ আমি বললাম,

-দরজা বন্ধ করে আয় আমি এগোলাম। 

সাদিক ফোন কানে রেখেই বলল,

-যাস না। আমি আসছি।

আমি একা একাই চলে এলাম। ছাদে উঠেই আমার বেশ ভালো লাগলো। যেন আমার সমস্ত দিনের ক্লান্তিটুকু এই মিষ্টি আলোটা শুষে নিয়েছে৷ ছাদ ভর্তি আলোর চাদর৷ যেন আলোর উৎসব চলছে৷ আমার এই আলো মাড়িয়ে ছাদের কার্ণিশে যেতে ইচ্ছে হলো না। তবুও গেলাম। অনিয়ম করলাম। ছাদের উত্তর কোণায় গিয়ে দাঁড়াতেই এক ঝাক শীতল বাতাস এসে ঝাপটে ধরলো আমায়৷ এই এতোটা সময় ধরে এই বাতাসটুকু যেন আমার জন্যেই অপেক্ষা করছিল। কেবলই আমার জন্যে৷ আমার বেশ ভালো লাগলো। বাতাসের পরম ছোঁয়া আমার সমস্ত হৃদয় একেবারে নাড়িয়ে দিলো। শীতল এবং কোমল করলো। আমি বড় আনন্দ অনুভব করলাম৷ এই মূহুর্তে একজন কথা বলার সঙ্গি থাকলে ভালো হতো৷ সাদিক নয়৷ এই পৃথিবীর কোনো পুরুষ নয়৷ একজন নারী৷ একটি লজ্জাশীল তরুণী৷ যার চোখ ভর্তি কাজল। যে শাড়ি পরতে পারবে বেশ দারুণ করে৷ যার কথা বলার দক্ষতা হবে তীক্ষ্ণ। যুক্তিতর্কে যে মেয়ে কখনই হেরে যেতে চাইবে না৷ যে মেয়ে কঠিন কথার আড়ালেও ভালোবাসার কথা বলতে জানে। যার মনভর্তি আমার জন্যে আকুলতা থাকবে৷ যে তার প্রতিটি সময়ে আমার সঙ্গ চাইবে৷ এতটুকু ভাবার পরই আমার তমার চেহারাটা মনে পড়ে গেল। কেন পড়লো? এই মূহুর্তে তমার চেহারা মনে পড়ার মতো কী ঘটলো? আচ্ছা, আমিও বা এই কথা গুলো কেন ভাবছি? হঠাৎই একটি মেয়ের সঙ্গ চাওয়ার মতোন কী ঘটলো? ভাবতেই কেমন লজ্জা লেগে গেল আমার। কী ভাবছিলাম এতোক্ষন৷ আচ্ছা এই ভাবনার মাঝে তমা আসলো কোত্থেকে? আমি কী আড়ালে কোনো ভাবে এই তমা মেয়েটিকেই চাইছি? কিন্তু আমার তো লারাকে ভালো লাগে৷ কল্পনায় সে এলো না কেন? আচ্ছা আমার মাঝে কী প্রেম জাগছে? নাকি সবটাই এমন প্রকৃতির দরুণ হচ্ছে? চাঁদ কিংবা চাঁদের আলোকে কি এই জন্যে রোমান্টিক বলা হয়? এরা কি মনের মাঝে অনুভূতি জাগাতে পারে? মনটাকে আদ্র করে তার ভেতর সূক্ষ্ম কিছু অঙ্কুরিত অনুভূতি? কে জানে! কতো অদ্ভুত কিছুই না এই পৃথিবীতে হয়৷ এও হবে হয়তো! 

.

রাতে বেশ চমৎকার একটি ঘুম হলো। সকাল বেলা ঘুম ভাঙল বেশ ফুরফুরে মন নিয়ে৷ বাইরে ঝকঝকে রোদ৷ আকাশ পরিষ্কার। কিছু সময় বারান্দায় দাঁড়ালে কেমন হয়? আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছু সময়। তার ঠিক অল্প কিছু পরেই লারার ফোন এলো। ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে কোকিল কণ্ঠ ভেসে এলো,

-গুড মর্নিং। 

-মর্নিং৷

-কেমন আছো?

-বেশ ভালো৷ তুমি?

 -কে জানি৷ দিন দিন তোমার মতো অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি হয়তো! 

-মজা করছো না?

লারা শব্দ করে হাসলো। বড় বিরক্ত লাগলো আমার। লারা নিজ থেকেই বলল,

-ফ্রি আছো? 

-আমার আর কী কাজ। ফ্রিই তো। 

-তাহলে চলো আজ পুরোদিন ঘোরা যাক৷ 

-ঘুরবে?

-তোমার যদি আপত্তি না থাকে তবে!

-বিকেলের দিকে বের হই। তখন রোদটা কম থাকবে৷ থাকলেম তেমন তেজ থাকবে না। কী বলো?

-ঠিক আছে। মহারাজ যা চান! 

কথাটা শুনেই আমার খুব হাসি পেল। আমি হেসে ফেললাম। 

.

লারার সাথে ঘোরাঘুরি করে ফিরতে প্রায় রাত দশটা বেজে গিয়েছিল৷ লারা গাড়িটি যখন বাসার সামনে পার্ক করলো ঠিক তখনই বিপরীত দিক হতে আরেকটা গাড়ি এসে থামলো। আমি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। লারা নামতে চাইলো৷ আমি ওকে নিষেধ করলাম। আ'ম ওকে। হাঁটতে পারি এখন৷ লারা চলে গেল না। আমি জানি বাসার ভেতরে না ঢোকা পর্যন্ত এই মেয়েটা যাবে না৷ আমি খানিকটা এগিয়ে গেলাম। ঠিক তখনই দেখলাম স্যুট-কোট পরা এক সুদর্শন যুবক গাড়িটির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে। খুব বিনয়ী স্বরে কিছু বলছে যেন৷ এর ঠিক কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখলাম তমা নামছে। ছেলেটি তমার হাত ধরে তাকে নামতে সাহায্য করছে৷ আমার ঠিক তখনই আমার বুকের ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছে৷ আশ্চর্য ব্যাপার! তমা অন্য একটা ছেলের হাত ধরেছে। এটা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। এখানে আমার এমনটা হওয়ার কারণ কী? আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। নড়তেও পারছিলাম না যেন। ছেলেটা বেশ হাসির কিছু একটা বলেছে৷ তমা চট করেই হেসে ফেলল। আমি এগিয়ে গেলাম। এসব দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখাটা অন্যায়৷ এবং সত্যি বলতে অসহ্যকর। আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম৷ বাসার ভেতরে ঢুকে গিয়েছি তখন। ছেলেটা আর তমা গেটের কাছে দাঁড়িয়ে আছে৷ ছেলেটা হয়তো বলছে,

-বাসা পর্যন্ত দিয়ে আসি না?

তমা মিষ্টি স্বরে বলল,

-না। লাগবে না। আপনি চলে যান৷ আমি দাঁড়িয়ে থেকে আপনার চলে যাওয়া দেখবো। 

ছেলেটা হেসে দিয়ে বলবে,

-উল্টো কেন বলছেন? আপনার চলে যাওয়া উচিৎ। আমি আপনার চলে যাওয়া দেখবো। 

আমার গা গুকিয়ে উঠলো। বড়ই অসহ্য একটা ব্যাপার। কী সব ভাবছি আমি! এই দুনিয়ায় নিজের ভাবনাকে রুখে রাখারা ক্ষমতা হয়তো কারোই নেই৷ তিলকে তাল করে তোলে এটি৷ আমি লিফটের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই তমা এসে পাশে দাঁড়ালো। ঠিক তখনই মিষ্টি একটা ঘ্রাণ এলো নাকে৷   আমি আড় চোখে তমাকে দেখলাম। মেয়েটাকে বড় অপরিচিত লাগছে৷ কেমন অচেনা অচেনা। কথা বলতে ভয় করছে৷ আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার বুকের ভেতটা কাঁপছে৷ অস্বাভাবিক রকম কাঁপছে৷ অথচ এমন কাঁপার কোনো মানেই নেই। তমাকে আমি এই প্রথম দেখছি না৷ তার'চে বড় ব্যাপার সে আমার বন্ধু। তাকে দেখে বুক কাঁপবে কেন? কী যন্ত্রণায় পড়ে গেলাম৷ লিফটে দুজনে এক সাথেই উঠলাম। কয়েক সেকেন্ড পরেই কাঁপাকাঁপা স্বরে জিজ্ঞেস করলাম,

-তমা? কেমন আছো এখন? 

তমা হাসলো। হাসিটা বড় অস্বাভাবিক লাগলো৷ এই মেয়েটার তো রেগে থাকার কথা। অথচ সে এখন রেগে নেই? বরং হাসছে। কী সতেজ হাসি। বলল,

-বেশ ভালো৷ তুমি কেমন আছো? 

আমি কোনো রকম বলল,

-এই তো আছি৷ কাল কী হয়েছিল তোমার?

-তেমন কিছু না৷ প্রেশার লো হয়ে গিয়েছিল৷ 

-এখন সুস্থ আছো তো?

-হ্যাঁ। 

-যাক। ভালো৷ 

এই বলে আম থামলাম। তমা আমার দিকে না তাকিয়েই বলল,

-তোমাকে কেমন অস্বস্থির লাগছে৷ কী হয়েছে?

-অস্থির লাগছে নাকি? কী বলো?

তমা হাসলো। কিছু বলল না। আশ্চর্য ব্যাপার! এখানে হাসার কী হলো? এই মেয়ের সমস্যা কী? সে এমন বিহ্যাভ করছে কেন? আমি আরেকবার বেশ নরম স্বরে বলল,

-এই ছেলেটির সাথেই কি তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে?

তমা আবারো হাসলো। বলল,

-হ্যাঁ। নাম ইমন চৌধুরী। নামটা সুন্দর না?

-সুন্দর। 

-মানুষটাও বেশ ভালো।

-এক দেখায় চিনে ফেলেছো?

তমা খানিকটা চুপ থেকে বলল,

-কিছু মানুষকে এক দেখাতেই চিনে ফেলা যায়৷ প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায়৷ এটা তুমি বুঝবে না৷ তোমার বোঝার সেই ক্ষমতাটা নেই৷ 

ঠিক তার কয়েক সেকেন্ড পরেই লিফট থামলো এবং তমা দ্রুত ও স্বাভাবিকভাবে চলে গেল৷ আমাকে বাই পর্যন্ত বলল না৷ আমি লিফটের ভেতরই দাঁড়িয়ে থাকলাম। এই মূহুর্তে আমার এখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে৷ হাহাহা! অদ্ভুত ইচ্ছে৷ 

.

ভুলত্রুটি মার্জনীয় 

-তাসফি আহমেদ।


বাকি পর্বটা পড়ে নিন-

সপ্তম পর্ব 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url