গল্পঃ অবিন্যস্ত আমি প্রথম পর্ব

বাংলা ছোট গল্প| Bangla Love Stories| Bangla Choto Golpo | Bangla Valobashar Golpo| Bangla Golpo.


গল্পঃ অবিন্যস্ত আমি

প্রথম পর্বর


রাত চারটা বেজে পঁচিশ মিনিট।
আমার চোখে তীব্র ঘুম। ঘুম ঘুম চোখে এত
বড় একটা গল্প এডিট করে পোষ্ট দেওয়া
বড় কষ্টের। কষ্টকে উপেক্ষা করে ঘুম
জড়ানো চোখ দুটো দিয়ে আমি এতবড়
গল্পটা এডিট করি।প্রচন্ড বিরক্তি
লাগার স্বত্বেও আমি কাজটা
চালিয়ে যাই।কেবল পাবলিক একটা
ভালো গল্প পড়তে পারবে বলে।ঠিক
চারটা বেজে পঁচিশ মিনিট হতেই
আমার সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়। ফ্লাইট মুড অফ
করি। এতক্ষণ অন করা ছিল। মিরা ফোন
দিচ্ছিল বারবার। অনেকগুলো টেক্সট!
আমি বিরক্ত হই। রাত অনেক। এদিকে
আমি এডিট নিয়ে ব্যস্ত। এই সময় কেউ
ডিস্টার্ব করলে আমি ভীষণ বিরক্ত
বোধ করি।তাই ডাটা অফ করে ফ্লাইট
মুড অন করে এতক্ষণ কাজ করছিলাম।
ফ্লাইট মুড অন করতেই মিরার অনেকগুলো
মিসড কল পাই। আমি এড়িয়ে যাই।
ডাটা অন করতেই মেসেঞ্জারে
আওয়াজ করা শুরু করে দেয় । মিরার
আইডি থেকে মেসেজ আসে। আমি
এবারেও এড়িয়ে যাই।গল্প পোষ্ট করি।
আমার পেইজটাতেও করি।তারপর
মেসেঞ্জার চেক করতেই আমি
খানিকটা শক খাই। অবাক হই ভীষণ।
মিরা আমাকে ব্লক দিয়েছে। তার
অভিযোগ, আমি কেন তার ফোন তুলি
নি,কেন মেসেজের উত্তর দেই নি।ভাব
দেখাই আমি। আমার ভাব বেশি।
তারপর ছোট্ট করে একটা গালি দেয় ।খুব
খারাপ গালি না।না আপনাদের বলেই
ফেলি। পরে আবার কি ভাবেন। ছোট্ট
একটা শব্দ। লুচু। পড়তে খারাপ লাগবে।
তাই এভাবে বলেছি। তবে সে তার মতই
বলেছে।বিচ্ছিরি ভাবে। আরো
বলেছে আমি নাকি সারা রাত
মেয়েদের সাথে চ্যাট করি।কেবল
তার সাথে করি না। তাকে এড়িয়ে
চলি। আমার খারাপ লাগে। বড্ড মন
খারাপ হয়। এই পৃথিবী অদ্ভুত। মানুষ গুলো
আরো বেশি অদ্ভুত। হঠাৎ-ই আমি তীব্র
কষ্ট অনুভব করি। কাউকে হারিয়ে
ফেলার কষ্ট। আমি চমকে উঠি। আমার
চব্বিশ বছরের জীবনে আমি এতটা চমক
কোথাও পাই নিই। এতটা অবাক হই নিই।
আজ হয়েছি। মিরাকে আমি কখনই
এড়িয়ে যাই নি।মাঝে মাঝে ব্যস্ত
থাকায় কারো মেসেজেরই উত্তর
দিতে পারি না। মিরারও না। এতে
মিরা ভুল বুঝে আমায়। মিরার ভুল বুঝায়
কষ্ট হয় আমার। তাকে কখন যে খুব আপন
ভেবে ফেলেছি টের পাই নিই। কেউ
কাউকে কখন আপন ভাবে,কখন
ভালোবেসে ফেলে সেটা কেউই চট
করেই টের পেয়ে যায় না। বুঝতে
দেরি হয়। জীবনে এমন ছোট খাটো
হাজারো বিচ্ছেদ আপনাকে
জানিয়ে দিবে আপনার কত আপন সে।
কত ভালোবাসেন তাকে সেটা
জানতে পারবেন। তখন বুঝতে পারবেন,
যখন আপনার মাঝে তাকে হারানোর
তীব্র ভয় কাজ করতে থাকবে কেবল।
আমি জলদি করে ওকে ফোন দেই। ওপাশ
থেকে কেউ ফোন ধরে না।ব্যস্ত বলে
কেবল। অনেকবার ফোন দেই। পাওয়া
যায় না। খনিকটা অবাক হই। এত রাতে
কার সাথে ব্যস্ত ও। আমার কষ্ট বাড়তে
থাকে।অন্য সিম দিয়ে কল দেই।ফোন
ঢুকে। রিং হওয়ার শব্দ হয়। দুই বার শব্দ
হতেই কলটা আমি আপনাআপনিই কেটে
দেই। এই নাম্বার দিয়ে কল যাচ্ছে
কিন্তু ওই নাম্বার দিয়ে যাচ্ছে না
কেন? ব্যস্ত বলছে কেন বারবার! তাহলে
মিরা আমার ওই নাম্বার ব্ল্যাক লিষ্টে
রাখল! হঠাৎ-ই আমার মাঝে খারাপ
লাগা যেন খুব দ্রুত বাড়তে লাগল। মন
বিষন্ন হতে থাকল খুব। মিরাকে
ব্যাপারটা বোঝানো দরকার। খুব
দরকার। আমি ব্যস্ত ছিলাম। সে আমাকে
ভুল বুঝতে পারে না। আমি আবার ফোন
দেই। এবার এই নাম্বার থেকে ব্যস্ত
নামক ফালতু একটা শব্দ ভেসে আসে। এই নাম্বারটাও ব্ল্যাক লিস্টে পাঠায় ও। তাই ব্যস্ত বলে। ব্যস্ত শব্দটা খুবই খারাপ। দয়ামায়া নেই। এই 'ব্যস্ত' শব্দটা অনেকেই সহ্য করতে পারেনা।অনেক প্রেমিক প্রেমিকার
বিচ্ছেদ কেবল এই শব্দটার কারণে হয়।
কারো প্রাণ বায়ুও চলে যায়। নিজে
সাহায্য করে চলে যেতে। যাকে বলে
আত্মহত্যা। আমি এসব কিছুই ভাবছি না।
আমি ভাবছি আমার এই অবিন্যস্ত
জীবনটা নিয়ে। অবহেলা, আপনজন
হারিয়ে ফেলা যেন আমার এই
জীবনের নিত্যদিনের রুটিন হয়ে
গিয়েছে। আমার জীবনের সাথে
মিশে গিয়েছে একেবারে। কি কপাল
নিয়ে জন্মালাম কে জানে।আমার ঘুম
আসে না আর। চোখে ঘুম ধরে না। তবুও
চোখ-মুখ শক্ত করে শুয়ে থাকি।আমি
পাথার! আমাকে ভার্সিটির অনেকেই
পাথর বলে ডাকে। কেউ বলে নির্জীব।
আবার কেউ বলে ভাব দেখাই। তার
একটাই কারণ। আমি সবার সাথে
মিশতে পারি না। সবার বন্ধু হতে
পারি না।হাসতে পারি না।হাসাতে
পারি না । চোখে জল জমে না। কষ্ট হয়
না। আমি এমনই। চুপচাপ, একাএকা
থাকতে অধিক পছন্দ করি। তারও একটা
কারণ আছে। খুব জঘন্য একটা কারণ। মনে
হতেই আমার মাঝে তীব্র ঘৃণা কাজ
করে। গা যেন কাটা দিয়ে উঠে। মানুষ
এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে! মানুষ পারে।
তবে বাবা-মা পারে না। ডাহা
মিথ্যা কথা! তারাও পারে। বাবা-
মাও তো মানুষ। তারা কেন নিষ্ঠুর হতে
পারবে না! আমার বাবা-মা তার
প্রমান দিয়ে গিয়েছেন। পৃথিবীতে
বাবা মাও চরম নিষ্ঠুর হয় তার একটা
প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমার বাবা মা। ছিঃ
আমার বাবা মা বলতে ঘৃণা হচ্ছে।
ভীষণ ঘৃণা হচ্ছে। এত খারাপ হতে পারল
কিভাবে? আমার কথা ভাবল না?
আমার ছোট্ট একটা বোন আছে তার
কথাও ভাবলো না। এত নিষ্ঠুর তারা!
চলে গেল দুজন দু দিকে।মাঝ খানে
আমাকে আর আমার ছোট্ট ফুটফুটে
পুতুলের মত বোনটাকে খুন করে গেল।
মেরেই ফেলত। বাঁচিয়ে রাখল কেন?
আমার বাবা-মা নিষ্ঠুর।চরম নিষ্ঠুর।
একরাতেই সব শেষ হয়ে যায়। আমার
সামনেই সব শেষ হয়। সে রাতে বাবা
মায়ের ঝগড়া হয় ভীষণ। আমি আড়াল
থেকে শুনি সব। ঝগড়ার মাঝে একটু যেন
হাতাহাতি হয়। তবুও কেউই দমে যায়
নি। চালিয়ে যায়। দাদু বাসায়
ছিলেন না।থাকলে এমন হত না।
সেরাতে ঝগড়ার মাত্র বেড়ে যায়
অনেক। আমার দয়াময়ী মা বিদায় নেয়।
আমার সামনে দিয়েই মুখে চরম বিরক্তি
আর রাগ নিয়ে মূল দরজা দিয়ে
বেরিয়ে যায়। আমায় দেখেও দেখি
নি সে। আমার দিকে তাকায়ও নি।
আমার ঘুমন্ত নিষ্পাপ বোনটার দিকেও
না। একেবারে লাগেজ নিয়ে বিদায়
হয়। সেদিন দেখেছি মা কেমন
দয়াময়ী। কেমন মমতায় ভরপুর তার হৃদয়। মা
চলে যায়। আমার চোখে জল জমে।
গড়িয়ে পড়ে। সোফার উপর থাকা
আমার নিষ্ঠুর বাবার দিকে তাকাই
একবার। তার চোখে হাসি। মুখেও।
আমার ঘৃণা হয়। চরম ঘৃণা হয়। ঠিক তখনই
বাবার ফোনে একটা কল আসে। বাবা
বেশ হাস্যউজ্জ্বল হয়ে ওপাশের
মানুষটার কথা শুনে।বলে, "তোমার পথ
ক্লিয়ার বেবি।" এই বলে হাসতে
থাকে। ভীষণ হাসে। আমার কষ্ট হয়।
"তোমার পথ ক্লিয়ার বেবি।" শব্দটার
মানে তখন বুঝি নিই। এখন বুঝেছি। এর
পরের দিনই বাবা লাগেজ ধারি এক
মহিলাকে নিয়ে আসে।আমি, দাদু আর
মিহিন বসে ছিলাম সোফার উপর।
বাবাকে দেখতেই দাদুর চোখ-মুখ লাল
হয় হয়।উঠে গিয়ে কষিয়ে কষিয়ে বেশ
কয়েকটা চড় দেয়। গাঁঢ় ধাক্কা দিয়ে
বের করে দেয় বাসা থেকে।ত্যাজ্য
পুত্র করেন তাকে।সেদিন এই দৃশ্য দেখে
আমি আনন্দ পেয়েছি অনেক। অদ্ভুত
ভালো লাগছিল আমার কাছে। এই
পৃথিবীরর প্রতিটি মানুষকে আমি ঘৃণা
করতাম। প্রচন্ড ঘৃণা করতাম। করি না
কেবল এই দাদুর জন্যে। কি সাহসিকতার
সাথে সেদিন তিনি বাবাকে বাসা
থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। দাদু
মানুষটা খুব ভালো।ভীষণ ভালো।
বাবা মায়ের মতই আমাদের আগলে
রাখার চেষ্টা করেন। দাদি ক' বছর
আগেই গত হয়েছেন। এই পাঁচ তলা
বাসাটাও দাদুর। যেখানে এখন আমি
থাকি।বাবাকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর
দাদু মাকে আনতে যায় অনেকবার।মা
আসে না। আমাদের বোজা মনে হয়
তার। মায়ের বাবার উপর জেদ হয়। সেই
জেদের শাস্তি আমাকে পেতে হয়।
আমাদের পেতে হয়। বাবার উপর জেদ
করেই মা আবার বিয়ে করেন। মাকে
হারাই এখানেই। মাকে হারিয়ে
সেকি কান্না জুড়িয়ে দিল মিহিন।
সারাদিন কান্না করত। খেত না কিচ্ছু।
আমি কোলে নিতাম।দাদু খাওয়াতে
যেত ওকে।বা আমি খাওয়াতে যেতাম
দাদু কোলে রাখত।ওকে নিয়ে এদিক
সেদিক ঘুরে বেড়াতাম। তবুও কান্না
থামতো না ওর।প্রায় এক সপ্তাহ কেটে
যায়। মিহিনের কান্না থামে নি।
কেবল মাকেই ঢাকছে।দাদু শেষবারের
মত মায়ের বাড়ি যায়। গিয়ে সেদিন
অবাক হয়েছেন অনেক। মায়ের বিয়ে
হয় পারিবারিক ভাবেই। কোন এক
ভদ্রলোকের সাথে। দাদু সেদিন চোখ-
মুখ কালো করেই চলে এসেছেন সেখান
থেকে। পৃথিবীর এমন নির্মম ঘটনার কোন
হিসেবই তিনি মিলাতে পারেন নি।
আজও পারেন নি। নিজের চোখে এমন
ঘটনা দেখার পূর্বে নিজের মৃত্যু কামনা
করেছিলেন দাদু।আল্লাহ হয়ত আমাদের
জন্যেই উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।এই
কথা গুলো দাদুর ডায়েরি থেকে পড়ি
আমি। বারবার আমার মায়ের বাসায়
গিয়ে তাকে বোঝানো, ফিরিয়ে
নিয়ে আসতে চাওয়া, এবং প্রতিবার
অপমান করে তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার
কষ্ট কেবল তিনি মুখ বুজে সহ্য করে
গিয়েছেন। আমাদের বলেন নি।বাবা
মা চলে যাওয়ার প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যখন
মিহিনের কান্না থামছিল না তখন
আমি এবং দাদু একটু চিন্তিতই হলাম। তবুও
বুকে আগলে রেখেছিলাম নিজের
বোনকে। রাতে ঘুম পাড়ানির গল্প
বলতাম। কত কথা বলতাম তার সাথে!
আমার পাগলি বোন। কোন কথাই বলতে
না। কেবল আমার গলা জড়িয়ে শুয়ে
থাকত। আমার অদ্ভুত ভালো লাগত তখন।
সে রাতেও মিহিন আমায় জড়িয়ে
ধরে ঘুমিয়েছিল। পুরো দিন একবারের
জন্যেও কাঁদে নি মায়ের জন্যে। ঠিক
মত খাবার খেয়েছে।আমি অবাক
হয়েছি ভীষণ। দাদুও।কিছু বলি নিই
তাকে। আমার বোন সুস্থ,স্বাভাবিক
হচ্ছে।রাতে আমার গলা জড়িয়ে চুপটি
করে আমার পাশে ঘুমায়। আমি তাকে
জড়িয়ে ধরি পরম মায়ায়। ও চুপচাপ
থাকে।কথা বলে নি এত দিন। খুব
টেনশনে ছিলাম।কিন্তু সে রাতে
মিহিন কথা বলেছিল। আমার টেনশন
কাটে। তীব্র আনন্দে বুক ফেটে কান্না
আসে আমার।চোখে জল জমে।জল জমার
মত একটা বলে আমার ছোট বোনটা।
আমার চার বছরের ছোট্ট বোনটি
সেদিন অস্ফুট স্বরে আমাকে
ভালোবাসার কথা বলে। আমি চমকে
উঠি। এতটুকু মেয়ে কি বলছে এসব!
"ভাইয়া তুমি খুব ভালো। আমার ভালো
ভাইয়া। আমার দাদু ভালো। কেবল আব্বু
আম্মু ভালো না।তারা খুব খারাপ
ভাইয়া, খুব খারাপ। আমাদের এত কষ্টে
রেখে তারা আনন্দে আয়েশ করছে।"
মিহিন কেঁদে উঠে চট করেই।আমার চোখে জল জমে। চোখে কোনা বেয়ে পড়ে ক'ফোটা। ওকে জড়িয়ে ধরি খুব করে। ডুকরে কেঁদে উঠি সেদিন। বোনটাও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে।তীব্র আনন্দ আর কষ্ট নিয়ে আমরা দু'ভাই বোন ঘুমের রাজ্যে  যাই। মিহিন মারা যায় সে রাতেই। খুব ভোরেই ঘুম ভাঙ্গে আমার। বুকের সাথে মিশে থাকে শীতল, ভারি কেউ। আমি চমকে উঠি। মিহিনের গায়ে হাত রাখি। আমার গা শিউরে উঠে। দম বন্ধ হয়ে আসে আমার।চিৎকার দিতে গিয়েও কেন জানি কোন আওয়াজ মুখ দিয়ে এল না। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে থাকি কয়েক মুহূর্ত। মিহিনকে কবর দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমি একটুর জন্যে কাঁদি নি।চোখে জল আসে নি আমার। কিন্তু যখন ওকে কবরে রেখে চলে যাচ্ছিলাম তখন আমার কলিজা যেন ছিড়ে যাচ্ছি। বুক ফেটে যেন কান্না আসছিল। কাঁদতে পারিনি তবুও। কেবল ওর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে খুব জোরে একটা চিৎকার দিয়েছি কেবল।সেদিন কান্না বন্ধ হয় আমার। আর চোখে জল আসে নিই।কোন কিছুতে কষ্ট অনুভূত হত না আমার।যেন নির্বোধ কেউ একজন আমি।আমি সত্যিই নির্বোধ। আর এই হচ্ছে আমার পাথুরে গল্প।নির্বোধ গল্প।
.
ভুলত্রুটি মার্জনীয়
-তাসফি আহমেদ
.
গল্পটার আরো কিছু অংশ লিখেছি এবং লিখছি। বড় হবে বিদায় পার্ট করলাম। আবার গল্পটা এখানেও শেষ করা যায়।আপনারা বললে অন্য পার্টে এদের মিল দিয়ে দিব।ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url