গল্পঃ ভ্রম

বাংলা গল্প Love Stories Bangla Choto Golpo  Bangla Valobashar Golpo Bangla Golpo.


গল্পঃ ভ্রম

প্রথম পর্ব

চাকরিটা পেয়েছি বছর খানেক হবে। চাকরি, বাবা,মা বেশ ভালোই আছি।জিবনে প্রেমটা করা হয়ে উঠে নি।করা হয়ে উঠেনি বললে ভুল হবে।ইচ্ছে করেই প্রেম করি নি।খুব ভয় হতো।হারানোর ভয়।প্রনয় শিখা বড় উত্তপ্ত। যে জ্বলে সে বুঝে কতটা উত্তপ্ত। বন্ধু মহলের অনেক কেই জ্বলতে দেখেছি।তাই এসব থেকে খুব দুরেই থাকতাম।
পুরুষ যেহেতু হয়েছি,তাই বিয়েটা করা আবশ্যক। বেশ কিছুদিন হল মা বেপারটা নিয়ে জোর দিচ্ছে।আমি অবশ্য সম্মতি জানিয়েছি।আর কত একা থাকব।আর মা বাবাও তো বৃদ্ধ হচ্ছে।
মাকে সোজা বলে দিলাম যে,
"মা আমি গ্রামের মেয়ে বিয়ে করব।এই মফস্বল শহরের কোন মেয়েকেই আমার ভালো লাগে না।তাদের চারিত্রিক রূপ বাদ দিলাম, বাহ্যিক যে রূপ বা তাদের যে আচরণ, তা থেকেই বুঝা যায় যে তারা কেমন হবে। আর এমন কেউকে পাব না যে প্রেম করে নি।মা আমি কারো জিবনে ২য় ভালোবাসা হয়ে থাকতে চাই না। গ্রামের কোন সহজ সরল মেয়েকে বিয়ে করে তাকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিব।তাকে নিজের করে নিব।"
মাও সায় দিলেন। আমার মা খুব বুদ্ধিমতী। একবার বলাতেই বুঝে নিয়েছে।
গ্রামে আমাদের ছোট একটা ভিটে আছে।বছরখানেক আগে একটা নতুন বাড়ি করেছে বাবা। বেশ বড় সড় করে তৈরি করেছে বাবা।সেই যে গেলাম আর যাওয়া হয়।বাবা মা অবশ্য যেত মাঝে মাঝে।আমি ঠিক সময় করে উঠতে পারি নি। পড়ালিখা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম।তারপর আবার চাকরি পেয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেছি।মোট কথা সময় হয়ে উঠে নি।
এবার গেলে একেবারে বিয়ে করে চলে আসব।বুদ্ধিটা অবশ্য মা-ই দিয়েছে।আপুকে ফোন দিলাম।ও বলছে এখন যেতে পারবে না।সংসার নিয়ে খুব ব্যাস্ত তিনি। বাচ্ছা গুলো স্কুলে পাঠাতে হয়, এই জাতিয় কয়েকটা কথা শুনালো।সঙ্গে তার হাজারো ব্যাস্ততার লিস্ট। শুনতে শুনতে একেবারে বোর হয়ে গেছি।
কিছুদিন পরে আসবে বলেছে।আমিও বললাম ঠিক আছে।তার সমস্যাটাও তো বুঝতে হবে নাকি।বিয়ের। ঠিক পনেরো দিন আগে উপস্থিত হওয়ার জন্যে বলেছি ওকে।জবাবে সে আসবে বলে সায় দিয়েছে।
.
মা বাবা কে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্য পাড়ি জমালাম। গ্রামের ভিতর দিয়ে গাড়ি ঢুকতেই কিছু পুরনো সৃতি নাড়া দিয়ে উঠল। আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে বন্ধুদের সাথে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরা।বৃষ্টির সময় পেন্ট গুটিয়ে কাঁদে ব্যাগ নিয়ে এক গাদা কাদার উপর হেঁটে বাড়ি ফেরা,আবার পাশের কোন বন্ধু যদি স্লিপ খেয়ে পড়ে যায় তাহলে সবার এক সাথে হেসে উঠা, আরো কত কি! এখন আর মাটির রাস্তা নেই।পাকা রাস্তা হয়েছে।টিনের ঘর এর সংখ্যা কমে এসেছে।পাকা ঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।বেশ কয়েকটা দোকানও হয়েছে গ্রামে।পুরো পাল্টে গেছে গ্রামটা।আমাদের বাড়ির মূল গেট দিয়ে ঢুকতেই একটা পুকুর আছে।তার পাশেই আমাদের মসজিদ। পুকুরের পশ্চিম পাশের ডুমুর গাছটা এখনো আছে।সাথে বেল গাছটাও।তবে আম গাছের সংখ্যা খুব কমে গেছে। এক সময় ডুব দিয়ে পানির নিচ থেকে কত আম নিয়ে এসেছি!! আজ খুব মনে পড়ছে সৃতি গুলো।চাচা,চাচির সাথে দেখা করে ঘরে গেলাম।ঘরটা অনেক নোংরা হয়ে আছে এখনি পরিষ্কার করতে হবে। লেগে গেলাম কাজে।বিকেল বেলা বের হলাম।বাল্যকালের কিছু বন্ধু আছে।তাদের অনেক দিন থেকে দেখি না।তাই বের হলাম দেখা করব বলে।
সবাইকে পেলাম না।জিবিকার তাগিদে কেউ দেশ ছেড়েছে তো কেউ গ্রাম।আগের মত তেমন লোক জনও নেই এখানে।
.
কিছুদিন পর মায়ের সাথে গেলাম মেয়ে দেখতে।মা, বাবা,আমি, আর এক বন্ধু আরাফাত কে নিয়ে বের হলাম।
মেয়ে দেখে বাড়ি ফিরলাম।এসেই দিলাম এক ঘুম।একেবারে সন্ধ্যায় উঠলাম।
যে মেয়েকে দেখেছি তাকে আমার এত বেশি ভালো লাগে নি।তাই তাকে বাদ দিয়ে নতুন কোন মেয়েকে দেখার জন্যে মাকে বললাম।
বেশ কয়েকটা মেয়েকেই দেখা হয়ে গেল।কিন্তু আমার মনের মত কাউকেই পেলাম না।
আজ আবার বের হলাম মেয়ে দেখতে।আমরা মেয়েদের ঘরে বসে আছি।আমি আর আরাফাত এক সোফায় বসেছি।অন্য পাশে বাবা মা একসাথে বসে আছে।রুমটা বেশ বড় সড়।কয়েকটা পেইন্টিং আছে দেওয়ালে।খুব সুন্দর। কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে আসল।মেয়েটা একটা নীল শাড়ি পরেছে।চোখ গুলো খুব কালো। তারউপর হালকা কাজলের প্রলেপ। ঠোটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক। মুখ সাদা করার জন্যে তেমন আটা ময়দা ব্যবহার করে নি।এতেই মেয়েটাকে বেশ লেগেছি।হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠল।
মেয়েটি সবাইকে এক এক করে সরবত দিল।আমার কাছে আসতেই আমি মাথা উঁচু করে তাকে দেখলাম।মেয়ে লজ্জায় নিজের চোখ জোড়া নিচে নামিয়ে নিল।আমি সরবতের গ্লাসটা নিয়ে মৃদু হাসলাম।
মেয়ের নাম তানজিলা রুহি।আমার খুব ভালো লেগেছে মেয়েটি কে।যাকে দেখেই আমার মনের ভিতর শান্তির বাতাস বয়ে গেল।আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল যে তাকে আমি আবার দেখব। কিন্তু না! আমি তাকে আর দেখতে পেলাম না সেদিন।লজ্জায় তাকাতে পারি নি।মাকে বলে সারা জিবন দেখার ব্যাবস্থা করতে হবে।
(বিয়ে আর বাসর রাত এই কাহিনী গুলো না বলাই ভালো হবে। বললে গল্প অতিরিক্ত বড় হয়ে যাবে।)
.
গ্রামের মেয়ে। তাই একটু বেশিই লজ্জা পাচ্ছে।ওর লজ্জা ভাংগাতে হবে। তাই ওকে ঢাক দিলাম,
:রুহি! এই রুহি!
:জি বলুন.
:আমি তোমার কি হই?
এ কথা বলার পরেই ওর চেহারাটা লজ্জায় লাল হয়ে গেল।আমি আবার বললাম,
:কি হয়েছে! কথা বল?
:জি আপনি আমার স্বামি হন।
এ কথা বলেই মাথা নিচু করে পেলল।আমি হাসলাম।তারপর বললাম,
:এত লজ্জা পেলে হবে?
:নতুন তো তাই।আপনি চিন্তা করবেন না।আমি ঠিক মানিয়ে নিব।
এই কথা শুনার পর খুব ভালো লাগল।
আমি আবার বললাম,
:শুন! আমি তোমার স্বামি।আমার উপর তোমার যেমন অধিকার আছে, তেমনি তোমার উপর আমার একই অধিকার আছে।তোমার কিছু লাগলে আমাকে নিঃসংকোচে বলে ফেলবে হু! আর আমাকে তুমি করে বলতে হবে।আর লজ্জা খুব কম পেতে হবে বুঝেছো?
:জি বুঝেছি।
.
ওকে নিয়ে আমি প্রায়শই ঘুরতে যেতাম।ও এখন আমার সাথে অনেক ফ্রি।আমরা দুজন দুজনকে বেসম্ভব ভালোবাসি।কখনো কেউ কাউকে বলি নি।তবে আমাদের কর্মেই প্রকাশ পেত যে আমরা একে অপরকে কতটা ভালোবাসি।যে রাতে চাঁদ টা সম্পুর্ন উঠত সে রাতে দুজনে মিলে বের হতাম।হাত ধরে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতাম। আর চাঁদের আলো গায়ে মাখতাম। বেশ ভালোই লাগত।তবে ও সবসময় সংসার নিয়ে ব্যাস্ত থাকত। কিভাবে কি করবে,কোনটা করলে সুন্দর হবে,কোনটা করলে খারাপ হবে সেটা ও খুব ভালোই বুঝত।আমারো বেশ ভালো লাগত।
কিছুদিন আগে ওকে একটা মোবাইল কিনে দিলাম।সাথে সিমও।সারাদিন অফিসে থাকি।ওর সাথে কথা না বললে আবার ভালো লাগে না।কেমন জানি লাগে। তাই ফোনটা কিনে দিলাম।একটা ফেবু আইডিও খুলে দিলাম।আমার সাথে এড দিয়ে দিলাম।আর ওকে বললাম নিজের পরিচিত কয়েক জনকে এড করে নিতে।প্রথম কয়েকদিন ওকে একটু বুঝিয়ে দিলাম। তারপর নিজে থেকেই সব কিছু শিখে নিয়েছে।
দু'বছর পর,
ঘরে তো আলো আছেই।সেই আলোকে আরো আলোকিত করে নতুন কারো আগমন হয়েছে।হ্যাঁ আমি বাবা হয়েছি।আর ও মা।ছোট ছোট অঙ্গ নিয়ে আগমন হয়েছে নতুন রাজকন্যার।আমার রাজ কন্য।আমাদের রাজ কন্যা।বাবা হওয়া আনন্দ কি তা আমি আজ বুঝেছি।আমি খুশি।বাবা খুশি।মা খুশি।আর রুহি? ও তো আরো বেশি খুশি।
দিন দিন বড় হচ্ছে আমাদের ছোট প্রানটি।
.
আজ অফিসে অনেক কাজ করেছি।কাজের চাপে অবস্থা প্রায় নাজেহাল। অনেক কষ্টে সিঁড়ি বেয়ে উঠে দরজার সামনে দাঁড়ালাম। কলিংবেল বাজালাম। এক বার,দুই বার,তিন বার! আবার বাজালাম। কি বেপার দরজা খুলছে না কেন? কিছু হয় নি তো? পর পর দু'বার বাজালাম। কেউ এসেছে।হুম দরজা খুলছে।হাতে মোবাইল নিয়ে মোবাইলের দিকেই তাকিয়ে আছে। আমার দিকে এখনো তাকায় নি।আমি বিরক্ত নিয়ে বলে উঠলাম,
:কি বেপার দরজা খুলতে এত লেট হচ্ছিল কেন?
:একটা শাড়ির ডিজাইন দেখছিলাম।খুব সুন্দর শাড়িটা।
:তাই বলে এত লেইট?
:দেরি তো হতেই পারে।তাই বলে এমন বাজে রিয়েক্ট করার কি আছে?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ব্যাগ নিয়ে ভিতরে চলে আসলাম।কিছু বললাম না।শরিরটা বেশ ভালো যাচ্ছে না।
ফ্রেশ হয়ে শুয়ে গেলাম।এর মাঝে রুহি এক বার এসে খেতে বলল।আমি বললাম পরে খাব।ও আর কিছুই বলে নি। এ কেমন পরিবর্তন। আগে তো এমন ছিল না।আগ অফিস থেকে আসলে ব্যাগটা নিয়ে খাবার নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যেত।কিন্তু আজ.....
আমার পাশে আমাদের ছোট রাজকন্যা মিহিন শুয়ে আছে।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলাম।
ঘুম থেকে উঠলাম মিহিন এর কান্নার আওয়াজ শুনে।চোখ মেলেই দেখলাম রুহি বসে বসে মোবাইল টিপছে।বাবু যে কান্না করছে সেদিকে তার খেয়ালই নেই। আমি বাবুকে কোলে নিয়ে ওকে বললাম,
:মিহিন যে এত কান্না করছে সেটাকি তুমি দেখছ না?
:আরে আর বল না।এই মেয়েটা এত জ্বালায় বলার বাহিরে।সারা দিন শুধু কাঁদে।মার কাছেও যায় না।শুধু আমার কোলেই থাকবে সে।
:তাই বলে তুমি ওকে কোলে নিবে না? বাচ্ছারা তো এখন মায়ের কোলেই যেতে চায়।ওর পাশে এখন তোমার থাকা দরকার। সারা দিন কি কর তুমি?
:কি করি মানে? এই রান্না থেকে যত কাজ সব তো আমিই করি।
:কেন? মা তোমাকে সাহায্য করে না?
:করে তো।
:তাহলে কি নিয়ে এত ব্যাস্ত থাকো তুমি?
:ধুরর!! এই পিচ্ছির জন্যে আমার এখন বকা শুনতে হচ্ছে । দাও তো এদিকে দাও।
আটার বস্তা যেভাবে নেয়,ঠিক সে ভাবেই ও আমার কোল থেকে মিহিন কে নিয়ে নিল।আমার মেজাজটা পুরোই খারাপ হয়ে গেল। মন চাচ্ছে দি এক থাপ্পড়। নেহাত ভালোবাসি বলে।তা না হলে বুঝাইতাম ওকে। আরেকটা বেপার কি, ও এখন হাত থেকে মোবাইল রাখছেই না।কি জানি করে বুঝি না।
কিছুক্ষন পর এসে বলল,
:এই দেখতো এই আলমারি টা কেমন? খুব সুন্দর তাই না?
:হুম খুব সুন্দর।
:আমার না এই আলমারিটা খুব পছন্দ হয়েছে। চল না।আমরা এমন একটা আলমারি কিনে পেলি।
:আলমারি একটা তো আছেই।তাহলে আবার নতুন আলমারি কি দরকার?
:ওইটা তো পুরাণ হয়ে গেছে।
:নাহহ! আমার কাছে এত টাকা নেই। এখন কিনে দিতে পারব না।
ও কিছুই বলল না।মুখ কালো করে চলে গেল।বাবু কে মনে হয় মায়ের কাছে দিয়ে আসছে। যাই বাবুর কাছে যাই।যেতে যেতে ভাবলাম,
আলমারি টা অর্ডার দিয়ে রাখি।কাল নিয়ে এসে ওকে সারপ্রাইজ দিব।মায়ের কাছ থেকে বাবুকে নিয়ে রুমে আসতেছিলাম আলমারিটা অর্ডার করব বলে।অবশ্য দোকানে গিয়ে দেখে আসতে হবে।কাল না হয় আসার সময় দেখে আসব।আগে অর্ডারটা দি।
এই সব ভাবতে ভাবতে রুমে ঢুকতে যাব তখনি রুহির কন্ঠ কানে আসল।কারো সাথে ফোনে কথা বলছে।আরেকটু এগিয়ে শুনার চেষ্টা করলাম।সম্ভবত কোন বন্ধুর সাথে কথা বলছে।কথা গুলো এমন ছিল,
:আরে বলিস না।তাসফি কেমন জানি হয়ে গেছে।আগে আমার ইচ্ছের মূল্য দিত কিন্তু এখন আর কোন মূল্যই দেয় না।
ও পাশের কথা আমি শুনতে পাচ্ছি না।
:.......
:জানিস আজ ওকে কত করে বললাম যে আলমারিটা কিনি।কিন্তু না! সে কোন মতেই কিনে দিবে না।কি করি বলত!
:..........
:ধুরর।কোন ফকিরের ঘরে আসলাম। বাদ দে।তোদের টা কত হয়েছে?
:.......
:আচ্ছা তুইই বল আটত্রিশ হাজার টাকা কি বেশি কিছু।
:.......
:কোন ছবি টা সুন্দর হয়েছে?
:........
:আমাদের ছাদে তুলেছিলাম কাল।লাইক কমেন্ট কেমন পড়েছেরে।ও আসার পর থেকে ফেবুতে যেতেই পারি নি।
:..........
আমি আর দাঁড়ালাম না।ভিতরে চলে আসলাম।ও ছিল বারান্দায়। আমি ভিতরে ঢুকেই আমার পিসিটা অন করলাম।এ দিকে ও আমার আওয়াজ পেয়ে কথা প্রসঙ্গ পাল্টে পেলেছে।আমি ওর আইডিতে গেলাম।আমার চোখ তো ছোট হয়ে গেল।কমেন্ট গুলো পড়ে তো মাথায় রক্ত উঠে গেল।আমার কোলে বাবু।হাতে একটা ছোট খেলনা।ও সেটা নাড়াচ্ছে।আর আমি পিসির দিকে তাকিয়ে আছি।বড় স্ক্রিনে ওর সুন্দর চেহারাটা উজ্জ্বল হয়ে আছে।আমি কমেন্ট গুলো পড়তে লাগলাম।
প্রথম কমেন্ট হচ্ছে....

(ভুলত্রুটি মার্জনীয়)
তাসফি আহমদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url