গল্পঃ আমার তুমি।

বাংলা গল্প Love Stories Bangla Choto Golpo  Bangla Valobashar Golpo Bangla Golpo love5


"আমার তুমি "


আমি তখন খুব খারাপ ছিলাম। । ভার্সিটি ঠিক মতন যেতাম না।তবে আমি পড়ালিখায় খুব ভালো ছিলাম।উচ্ছ মাধ্যমিকেওও আমার রেজাল্ট খুব ভালো ছিল।কিন্তু কলেজে যাওয়ার পর আমি কেমন জানি হয়ে যাই।রাজনীতিতে জড়িয়ে যাই।সব সময় কলেজের বড় ভাইদের সাথে আড্ডা দিতাম।ক্লাস করতাম না।
আমি আমার মা বাবার সাথে ঠিক মত ভালো ব্যবহার করতাম না।সেখানে আমার থেকে বাইরের মানুষ কেমন ব্যবহার পেতে পারে তা না বলাই বাহুল্য।
যারা আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকত তারা নেহাত জিবিকার জন্যে থাকে।তা না হলে কেউই এখানে বেশি দিন থাকত না।আমাদের এখানের পাশেই উপজেলা। সরকারি চাকরি যারা করে তাদের অনেকেই এখানে থাকে।তাই তারা আমাদের বাসাতেই উঠে।অনেকেই আমার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ট্রান্সফার হয়ে যায় অন্যকোন জায়গায়। আমি প্রায়শই নেশা করে বাড়ি ফিরতাম। বাবা- মা কিছুই বলত না।আর কত বলবে। এখন শুধু তারা মুখ লুকিয়ে কাঁদে।সেটা তাদের দেখলেই বুঝা যায়।কিন্তু আমার মনে তাদের প্রতি কোন মায়া কাজ করত না।আথচ এই আমি প্রতিদিন মায়ের হাতে ভাত খেয়ে স্কুলে যেতাম। বিকেলবেলা বাবার সাথে স্কুল থেকে আসতাম। ছোট বোনটার জন্যে প্রতিদিন একটা হলেও চকলেট নিয়ে আসতাম। কিন্তু এখন এদের প্রতি আমার মনে কোন মায়াই কাজ করে না।এর এক মাত্র কারন ভার্সিটির বড় ভাই আর বর্তমান প্রযুক্তি। যতক্ষণ ঘরে থাকি হাতে মোবাইল থাকবেই।এমনকি খাওয়ার টেবিলেও।
এমন ছিলাম আমি।তারপরের কাহিনী টা অন্য রকম।যা আমার পৃথিবী কে বদলে দেয়।
রুহি,,,!পুরো নাম নুসরাত জাহান রুহি।আমি যখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি তখন ওরা আমাদের বাসায় ভাড়া উঠে। ওরা দুই ভাই এক বোন।ওর বড় ভাই আছে।ও মেজো। আর ভাই আরেক টা ছোট।
তাদের বেপার টা আমি বরাবরের মতই এড়িয়ে গেলাম।একদিন রাত দুইটার কাছাকাছি হবে।আমি নেশায় হাবু ডুবু খাচ্ছি।ডুলতে ডুলতে বাড়ি আসলাম।দারওয়ান কে ডাকদিলাম।একবার নয় দুইবার নয় অনেক বার ডাকলাম। শালা গেট খুলছেই না।যখন জোরে জোরে ডাক দিলাম তখন কোথা হতে দোড়ে এসে গেটটা খুলতে লাগল।চোখে এক রাশ ভয়। ঘেমে গেছে প্রায় ও।।ও জানে এখন কি হবে ওর সাথে।তাই গেট খুলেই মাথা নিচু করেই দাড়িয়ে আছে।বয়স পঞ্চশ উর্ধ্ব হবে।এমনিতেই নেশায় ছিলাম।মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল।দিলাম এক চড়।উনি বললেন,
আমার ভুল হয়ে গেছে বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি বললাম,
কিসের ক্ষমা হুম।তোকে রাখা হয়েছে দারওয়ানি করার জন্যে, ঘুম যাওয়ার জন্যে নয়।ছোট লোকের বাচ্ছা।তোদের,,,,,,, এই বলে আবার মারতে যাব তার আগেই
আমাকে কেউ একজন ঠাসসস করে এক চড় লাগিয়ে দিল।ফিরে তাকালাম,
মেয়েটা রাগে সুন্দর চেহারাকে লাল বানিয়ে পেলেছে।কেমন জানি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।কর্কশ কন্ঠে বলল,
আপনার কি কান্ডজ্ঞান নেই।একে তো নেশা করে এসেছেন, তার উপর আবার বাবার সমান লোককে মারছেন।।। এই আপনার মা বাবা আপনাকে শিখায় নি যে বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে।স্টুপিড কোথাকার
আমি আর কিছুই শুনলাম না।খুব ঘুম পাচ্ছে।পড়ে গেলাম মাটিতে।চোখটা আর মেলতে পারছি না।দারওয়ান আমাকে
ধরল।
এই উনাকে ধরছেন কেন হু,,,ছাড়েন উনাকে ছাড়েন।ওত জোরেই বলল যে আমার কানের পর্দা কেঁপে উঠল।
দারওয়ান বলল,
ওকে তো ঘরে দিয়ে আসতে হবে,,,,
মেয়েটা বলল,
কেন আপনি দিয়ে আসবেন কেন,,?এই মাত্রই তো আপনকে মারল,,, এত তাড়াতাড়িইই ভুলে গেলেন?
দারোয়ান কাকু বলল,
যতই মারুক ছেলেটা খুব ভালো,,,,
মেয়েটা বলল,
কেমন ভালো তা তো দেখতেই পারছি।
এই বলে চলে গেল।
সকালে নাস্তা খেয়ে বের হয়েই দারওয়ান কাকুর সাথে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।এই জন্যেই উনি আমাকে ভালো জানেন।তবুও বৃদ্ধ মানুষ কষ্ট তো হয়ই।তাই উনার ফেমিলির জন্যে কিছু করার চেষ্টা করছি।
রিক্সার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি।হঠাৎ ই দুইটা মেয়ে আসল।একজন আমার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকালো।সেই মেয়েটি বলল,
চল নিপা,এখানে দাড়িয়ে থেকে লাভ নেই।যে আপয়া দাড়িয়ে আছে,তাতে মনে হয় না একটা রিক্সা পাব।
পাশের মেয়েটা বলল,
চল,,,
আমি এইবার বুঝলাম মেয়েটা কাল রাত্রির মেয়েটা। কিছু না বলে আমি ঠায় দাড়িয়ে রইলাম।ওরা চলে গেল।মনে হয় না রিক্সা পাব।তাই উল্টা দিকে হাটা ধরলাম।
পরের রাতে সেইম কাহিনী ঘটল। আজও খেলাম দুইটা চড়।সে রাত্র আর তেমন কিছু হয় নি।
পরের দিন আমি ওদের কলেজের সামনে গেলাম।একটা ছেলেকে থ্রেড দেওয়ার ছিল।ও নাকি এলাকার মেয়েদের ডিস্টার্ব করে।আমি আবার এ বিষয়টা খুব খেয়াল রাখি যে কোন মেয়ে যেন আমার জন্যে কষ্ট না পায়।তাদের কোন ক্ষতি করি না।
ছেলেটার সাথে এক পর্যায় মারামারি শুরু করি।হঠাৎ কেউ এসে আমাকে একটা চড় মারল।তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটা। এই মেয়ের সমস্যা কি,,,?খালি চড় দেয়।সেদিন কি অপমানটাই না করল।চুপচাপ শুনলাম। খুব খারাপ লাগল যখন ও আমার বাবা মাকে তুলে কথা বলল।তাই আমি চলে আসলাম সেখান থেকে।ওর বকাবকি আর শুনতে ইচ্ছে না।
দিন যায় রাত যায়, কিন্তু ও আমাকে যেখানে পায় সেখানেই ছোট করে। আমি বুঝি না ওর সাথে আমার শত্রুতা কি,,,,,?সহ্য হচ্ছিল না।তাই ওকে কিডন্যাপ করি।মুখ বেধে রেখে বললাম,
এই তোর সমস্যা কি হু,,,,?কোন কালে আমি তোর কোন ক্ষতি করেছি যে তুই আমার পিছু ছাড়িস না।সমস্যা কি তোর,,,?খুব বড় ভাবিস নিজেকে তাই না।এক রাতেই তোর সব রাগ নিবে যাবে বুঝেছিস,,,,? বেয়াদব মেয়ে।আর যদি কখনো আমার বেপারে নাক গলাস তবে তোর সব শেষ করে দিব,,,,,?এই যা ওকে ছেড়ে দিয়ে আয়।শালা,,,,,
রাতে ঘরে ডুকলাম। নাহ আজ নেশা করি নি।নিজের থেকেই খুব অপরাধ বোধ হচ্ছে।কেন যে মেয়ে টা কে কিডন্যাপ করতে গেলাম,,,।সেই খারাপ লাগা থেকে আজ আর মদ খাই নি।নাহ মেয়েটা কে সরি বলতে হবে,,ওর বাবাকেও।কারন কিছুদিন আগে উনার সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এক পর্যায়ে আমি আমি উনার গায়ে হাত উঠাই।তবে মারি নি। উনি আমার এ রূপ দেখেই স্তব্ধ হয়ে গেলেন।তাই ভাবছি সরি বলব।কাল বলা যাবে।এখন আপাতত রুমে যাই।ড্রয়িং রুম দিয়ে যেতেই দেখলাম বাবা সোফায় বসে আছে।হাঁটুর উপর হাঁটু দিয়ে বসে আছে।চেহারায় খুব রাগ প্রতিফলিত হচ্ছে। কি হয়েছে কে জানে।আমি উনার সামনে দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ উনি উঠে আমার শার্টের কলারটা ধরে খুব জোরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেলেন। হাতে দেখলাম লাঠি একটা। কি বেপার এটা তো আগে দেখি নি।তাহলে কি উনি আমাকে মারবেন,,,?
দরজা আটকিয়ে বললেন,
অনেক সহ্য করেছে। এতদিন কিছুই বলি নি।শুধু দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুই শেষ মেশ এত নিচে নামবি তা আমার জানা ছিল।কোন মেয়েকে তুই কিডন্যাপ করবি তা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি।এই বলে উনি আমাকে মারতে শুরু করলেন। আমি চিৎকার দিচ্ছি।কেউ শুনছে না।শুনলেও কেউ আসত না।এমনকি আমার মাও আসে নি।
,,,
খুব সকালে গুম ভাংলো। আমার মাথাটা ঠিক আমার মায়ের কোলে ছিল।ওফ,,কি শান্তিতেই না ছিলাম। এক মুহূর্তের জন্যে ভুলে গেলাম যে আমাকে কেউ মেরেছে।শার্টটা খোলা।মা পাশে কান্না করছে।উনার চোখের পানিতেই আমার ঘুম ভাংলো। তাকিয়ে দেখলাম খুব লাল হয়ে আছে চোখ গুলো।ফূলে আছে।আরে উনি কান্না করছে কেন,,,?আমাকে মেরেছে বলে,,,?তাহলে আমাকে মারার সময় আটকাতে আসলো না কেন,,,?ও দরজা তো বন্ধই ছিল। এখন আমার কাছে অনেক কিছু পরিষ্কার। ইনিই আমার মা।হ্যাঁ আমার মা,,,!অথচ সেই আমি তাকে কত কষ্টইই না দিছি। তবুও এখন আমাকে কোলে নিয়ে বসে আছে।শরিরটা নাড়াতে পারছি না।কোন মতে হাত দু'টো মায়ের পায়ে রেখে কিছু বলতে চেস্টা করলাম।
কিন্তু মুখে কিছুই আসল না।শুধু জল গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে।মা কি বুঝল জানি না।তবে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।কপালে একটা চুমু খেল।আমি খুব চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করলাম।
দরজার আড়ালে দেখলাম কেউ দাঁড়িয়ে আছে।বাবা,,!!যিন
ি নিজের মধ্যেই নিজের কষ্ট চেপে ধরে রাখেন।বাইরে ক্ষোভ দেখা দিলেও ভিতরে তার হাজারো ব্যাথা।চল চল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কাছে আসল,,, মাথায় হাত রাখলেন,,, আমি নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে বাবা কে জড়িয়ে ধরলাম। তিন জনের চোখে জল।কেউ থামাতে পারছে না।।সুখের জল।কেউ থামাতে চাচ্ছে না।
বেশ কিছুদিন পর আস্তে আস্তে ছাদে গেলাম।ক্ষত স্থান গুলো এখনো সেরে উঠে নি।অনেক দিন আকাশ দেখি ননা।তাই আসা,,!উঠেই দেখলাম রুহি ছাদে দাড়িয়ে আছে।আমি আস্তে আস্তে ওর কাছে গেলাম।যত সব সমস্যার মূল এই রুহি।ওর প্রতি ঘৃণা জাগার কথা। কিন্তু অদ্ভুত বেপার হল ওর প্রতি আমার কোন ঘৃণাই আসল না। বললাম,
সরি আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করার
জন্যে।জানি ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই আমার।তবুও বলছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।
মেয়েটা আমার দিকে তাকাতেই দেখলাম মেয়েটা কান্না করছে।আমার গায়ে একটা সেন্টু গেঞ্জি ছিল।আমার গায়ে বেতের দাগ স্পট। ও সেদিকে তাকিয়ে আছে।কিছু বলছে না।আবার বললাম,
সরি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।কিন্তু না।মেয়েটা চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল। ও বলল,
আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ।আমি শুধু জানতাম আপনি খারাপ।কিন্তু আপনার ভিতর টা যে এত ভালো তা আমার জানা ছিল না।
আমি বললাম,
আপনাকে এসব কে বলেছে,,,?
আমাকে আমার বন্ধু মিহি বলেছে। ওই দিন যে ছেলেটাকে মারছিলেন না ওই ছেলেটাই ওকে বিরক্ত করত। কিন্তু আমি তাকে আগে জনতাম না।কিছুদিন আগে জানলাম যখন ছেলেটা মিহির কাছে ক্ষমা চাইল।কিন্তু আমি তার আগেই আপনার নামে আপনার বাব মায়ের কাছে বিচার দি। এবার মেয়েটি কেঁদেই দিল খুব জোরে। কেঁদে কেঁদে আবার বলল,
আমি আপনার বাবা মাকে অনেক অপমান করেছি কিন্তু আমি আপনার অতিত সম্পর্কে জানতাম না।তাই আমি তাদেরকেও অনেক অপমান করি।
হঠাৎ আমার ছোট বোন আসল,
:ভাইয়া তোকে মা ডাকছে,,,
:তুই যা আমি আসছি।
:না আমার সাথে আয়।আসছি যা তুই।
:ভাইয়া তুই এই মেয়েটার সাথে কথা বলছিস কেন,,?জানিস না ওর জন্যে আজ তোর এই অবস্থা।
:এই কি বলছিস এগুলা। যা এখান থেকে যা,,,?
:হুহ যাচ্ছি,,,,দাঁড়িয়ে থেকে টাইম নষ্ট করিস না।
:হুম তুই যা
ও চলে গেল।আমি রুহিকে বললাম,
ছোট তো তাই কিছু বুঝে নি আপনি প্লিজ কিছু মনে করবেন না,,,,
হুম আচ্ছা।
আমি চলে আসলাম।
পরের দিন আমি ওদের ঘরে গিয়ে ওর বাবার কাছে ক্ষমা চাইলাম। আর ও আমার মা বাবার কাছে।আমার মা বলল,
আমার ছেলের এই পরিবর্তনের পিছনে একমাত্র তোমারি হাত আর খোদার কৃপা মা।তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ জানাই,,,
আসলেই কথা ঠিক। ওর জন্যেই তো আজ আমি আমার মা বাবার কাছে আবার ফিরে আসতে পেরেছি।অবশ্য এর জন্যে ওকে ধন্যবাদওও দিয়েছি।
তারপর শুরু হয় আমার পথ চলে।যার দিশারী ছিল এই রুহি।খুব ভালো বন্ধু আমার ও।পড়ালেখায় মন দিলাম।রাসায়ন নিয়ে পড়ছি আমি।আমার লক্ষ্য হল আমি মেজিস্ট্রেড হব।এদিকে রাজনীতি বাদ দেওয়ার কারনে বড় ভাইদের কাছে আমি এখন খারাপ ছেলে।যে ছেলেটাকে ওই দিন মেরেছিলাম, সে এখন তাদের চোখের মনি।আমি এসবএ কান দি না।বাদ দিয়ে দিছি। আমি আমার পরিবার আর রুহি কে নিয়ে খুব সুখেই আছে।রুহিকে নিয়ে বলেছি কারন ওর সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।আমরা একটু সময় পেলেই ঘুরতে যেতাম।গৌধুলি লগ্নে একে অপরের হাত ধরে হাটতাম।রাতে চাঁদ দেখতাম।একদিন বলল,
: এই বলত আমাদের কয়টা বাবু হবে,,,,
:তুমি যতটা চাও,,,
:আমি যদি চাই অনেক গুলা তবে,,,,,
:সেটা তুমিই ভালো জানো।তুমি পারলে আমি কিছু বলব না,,,
:যাহ দুষ্ট ছেলে।
:হুম তোমার দুষ্ট
:আচ্চা আমাদের বাবুর নাম কি রাখব,,,,?
:যদি ছেলে হয় তবে অভি,,,আর যদি মেয়ে হয় তবে রাইসা রাখব,,,,,
:আমি আরো ভেবেছি অন্যটা,,,?
আমি মুখ ভার করে বললাম,
:কি
:অভি আর রাইসা,,,,
আমি মৃদু হেসে বলতাম,
পাগলি একটা। ও বলত,
তোমার পাগলি।তারপর আমার বাহুত মাথা রেখে হাতটা শক্ত করে ধরে রাখত।
এভাবেই চলছিল দিনকাল,,
বেশ কিছুদিন হল শুনলাম রুবেল (যে বিরক্ত করত) নাকি আবার ডিস্টার্ব করা শুরু করেছে মেয়েদের। শালারে তারপরের দিনই দিলাম এক ধোলাই। শিক্ষা হয়ে যাবে এতে ওর।
"
আমি বিসিএস দিচ্ছি।তাই একটু ব্যাস্ত ছিলাম। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। রুহি ফোন দিয়েছে।ধরলাম,
হ্যালো তাসফি তুমি কই।তাড়াতাড়ি অমুক জায়গায় চলে আসো।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।খুব ক্লান্ত ওর কন্ঠ।ফোনটা কেটে গেল।আমি তাড়াতাড়ি গেলাম সেখানে।গিয়ে দেখলাম রুহির রক্তাক্ত শরির পড়ে আছে।
"""""
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে জানালেন রুহি নাকি আর এই পৃথিবীতে নেই।আরো বললেন, ওকে নাকি রেপ করা হয়েছে।তারপর লোহার বতল দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। হাতে,পাঁয়ে, চোখে, মুখে এসিড মারা হয়েছে।
আমি স্তব্ধ হয়ে শুনলাম।এক ফোটা জল পড়ল চোখ থেকে।OT তে যাওয়ার আগে ও আমাকে ওয়াদা করিয়েছে যে, আমি যেন অন্য কাউকে বিয়ে করি। নিজের যেন ক্ষতি না করি।আমার চোখের জল আর বাধা মানছে না।পড়বেই পড়বে। পড়ুক।বাধা দিব না।
"""
কে এই কাজ করল তার খবর আমার কাছে আছে।তাই এখন আমার দুইটা কাজ।এক মেজিস্ট্রেড হওয়া আর দ্বিতীয় হল ওদের সঠিক সায়েস্তা করা। কারন এই দুনিয়াতে এদের বিচার হবে না।এরা পুলিশকে কিনে রেখেছে।তাই আমাকেই কিছু করতে হবে,,,,
জানেন,আমি আমার এই দুই হাতে ওই রুবেল আর ওর সাথিদের কে খুন করি।ঠিক যে ভাবে ওরা আমার স্বপ্নকে ভেংগেছে।আমার পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে। যারা আমাকে জিবিত রেখেই মেরে ফেলেছে।তাসফির চোখ আজ আবার বাধা মানল না।বাধ ভেংগে কান্না শুরু করল। আর তাসফির সদ্য বিবাহিত বউ চল চল দৃষ্টিতে তাসফির দিকে চেয়ে আছে।ভাবিছে, এখন আমার একটাই কাজ।উনার চোখে যেন আর জল না আসে।নতুন করে বাঁচতে শিখাতে হবে। ভালোবাসতে শিখাতে হবে,,,,,,
(কাল্পনিক)
.
(ভুলত্রুটি মার্জনীয়)
তাসফি আহমেদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url