Bangla Golpo: আমি চাই তোরা ভালো থাক

Bangla Golpo-Bangla New Golpo-Bangla Choto Golpo-Bangla Love Story-Bangla Valobasar Golpo-বাংলা গল্প



গল্পঃ আমি চাই তোরা ভালো থাক

(প্রথম পর্ব)

আমি আর আরাফাত ক্লাসে বসে আছি।দুজনেই একটা বেপার নিয়ে হাসছি।হাসার কারনটা কয়েকটা মেয়েকে নিয়ে।সেটা এই গল্পে বলা যাবে না।গেলেও বলব না।হাসার মাঝেই আমার চোখ গেল একটা মেয়ের দিকে।আমাদের ক্লাসেরই।ছোট ছোট চোখ দুটিতে গাঢ় কাজল, ঠোটে হালকা গোলাপি লিপষ্টিক,মুখে সামান্য আটা ময়দার প্রলেপ, গাঢ় গোলাপি হিজাব পরিহিতা হালকা পাতলা গঢ়নের মেয়েটাকে দেখেই আমার চোখ যেন স্থির হয়ে গেল।আমি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।কিছুতেই চোখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে না।কি নির্লজ্জ চোখ দুটো। দেখবে তো দেখবেই।মেয়েটির দিকে তাকিয়েই আরাফাত কে মৃদু ধাক্কা দিলাম।ও আমার তাকিয়ে থাকা দেখেই বুঝে নিয়েছে বেপারটা কি? আমি বলে উঠলাম,

:দোস্ত! ক্রাশ...

এই বলে ওর দিকে তাকাতেই দেখলাম সেও মেয়েটার দিকে মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি বোকার মত ওর দিকে তাকিয়ে আছি।আমার তাকিয়ে থাকা দেখে ও বলল,

:দোস্ত তোর ভাবি।
আমি বলে উঠলাম,
:আমার ভাবি মানে? তোর ভাবি।কারন তাকে আমি আগে দেখেছি। তাই সে আমার ক্রাশ। এবং তোর ভাবি।
:আগে দেখলেই কি ক্রাশ হয়ে যায় নাকি।আর তুই তো ক্রাশ খেয়েছিস। বেটা আমি তার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
:দেখ ভালো হবে না কিন্তু ।
:রেগে যাচ্ছিস কেন? যা সত্যি তাই বললাম।
এই বলে আরাফাত হাসতে শুরু করে দিল।ওর হাসিটা আমার কেমন জানি অস্বস্তি লাগল।ও হাসছে।আর আমার কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে। এক মহূর্তের জন্যে ওকে আমার শত্রু মনে হল।ওকে কেমন জানি কুৎসিত লাগছে আমার কাছে।ওর হাসিটা আমার বুকের বাঁপাশ টা জ্বলাচ্ছে।তার একটাই কারন,সে আমার প্রিয় জিনিস টা নিজের বলে দাবি করেছে।তাই আমার এমন মনে হচ্ছে।কি অদ্ভুত বেপার, মেয়েটাকে দেখালাম এই মাত্র।আর এত অল্প সময়েই ওকে আপন ভেবে পেললাম।
নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না।ধুম ধুম করে ওর পিঠে কয়েক গা লাগিয়ে দিলাম।ও পিঠে হাত দিয়ে বলল,
:আরে আমি কি সিরিয়াসলি বলেছি নাকি।জাস্ট একটু মজা করলাম।
:মজা করবি কেন? সে তোর কি হয় যে তুই তাকে নিয়ে মজা করবি?
ও ধিক্কার দিয়ে বলল,
:কয়েক মিনিটের দেখাদেখিতে মেয়েটার প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়লি যে আমাকে মারলি?
আমি কিছু বললাম না।আসলেই তো।কি জানি মেয়েটার সম্পর্কে আমি? সে কি ভালো নাকি খারাপ,তার নাম কি, তার কি বিয়ে হয়ে গিয়েছে, নাকি একগাদা বফ আছে?কিছুইতো জানি না। এগুলো না জেনেই এমন বাজে বিহেব করাটা মোটেও ঠিক হয় নি।কিন্তু আমি কেন এমন করলাম সেটা আমি নিজেও জানি না।নিজের মাঝেই অপরাধ বোধ কাজ করছে।আমি নিচু স্বরে বললাম,
:দোস্ত সরি!
আমি মৃদু হেসে বলে উঠল,
:হুম বুঝি বুঝি! সব বুঝি।
আমিও মৃদু হাসলাম।কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইলাম।দুজনেই চুপচাপ। স্যার আসছেন।স্যার লেকচার দিচ্ছেন।সবাই মনযোগ দিয়ে লেকচার শুনছে।আমিও। মেয়েটিও! আমি মাঝে মাঝে মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছি।সে তাকাচ্ছে। তার দিকে তাকাতেই আমার হৃদয় প্রশান্তির ছোঁয়া পায়।ভালো লাগা কাজ করে।
,
সেই স্কুল থেকেই আরাফাত এর সাথে আমার বন্ধুত্ব।বেশ ঘভির বন্ধুত্ব বলা চলে।এখন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি আমরা।পড়ালিখায় আমার থেকে ভালো ও।গায়ের রং শ্যাম বর্নের হলেও বড্ড স্মার্ট আর বুদ্ধিমান টাইপের ছেলে ও।তবে এক রোখা।তার অবশ্য কারনও আছে বটে ।সুদর্শন চেহারা আর একটু কম বুদ্ধিমানের ছেলেটা হচ্ছি আমি।পড়ালিখায় মোটামুটি হলেও বড্ড বোকা আমি। এর থেকে বেশি জানি না আমার সম্পর্কে। নিজেকে আজও চিনি নি আমি।নিজেকে চিনার ক্ষমতা কেউই রাখে না।যেটুকু চিনে তা মানুষের মুখ থেকে শুনে।
ক্লাস শেষ করে বের হলাম।আজকের জন্যে ভার্সিটি ছুটি ।খুদায় পেট ট ছোঁ ছোঁ করছে।সেই সকালে যে ভাত খেয়ে এসেছি, আর কিছুই খাওয়া হয় নি।খালা সকালবেলা আসেন নি।তাই নাস্তাও খাওয়া হয় নি।কলেজ থেকে দুরে, একটা বাসায় আমরা দুইজন মিলে থাকি।বাসাটা কলেজের পাশেই নিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তাদের কেউই বেচেলার দের কাছে বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত না।কি আর করা।
দোকানে এসেই একটা অলটাইম বান নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম।আমার দেখাদেখিতে আরাফাতও বন নিল একটা। আমাদের পারিবারিক অবস্থা এতটা ভালো না যে খুব বিলাসিতা করব।আবার এতটা খারাপও না যে না খেয়ে উপশ থাকব।
'
আব্দুর রাহিম সাহেব।এক জন বড়সড় ব্যবসায়ী তিনি।আমাদের বাড়িওয়ালা। এই বাড়ির পরের পাঁচটা বাড়িও এই ভদ্র লোকের। এগুলো থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই উনার সন্তানেরা খুব সৌখিন ভাবে জিবন যাপন করতে পারবে। উনার এক ছেলে দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।আর ছেলেটা নিজেদের ব্যবসা দেখাশোনা করে। ছোট মেয়ে রুপা এবার ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ে।মেয়েটা পড়াশুনায় যেমন চতুর , তেমনি রুপের দিক দিয়েও মাসাল্লা।
এই রুপাকেই আমি প্রাইভেট পড়াই।প্রতিদিন।
রুপা ওহম এর সুত্রটা প্রতিপাদন করছে আর আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি। কেন জানি আজ খুব ভালো লাগছে।চোখের উপর মেয়েটার চাঁদবদন খানা ভেসে উঠছে। রুপা আমার দিকে শান্ত চোখে তাকালো। এবং সে তাকিয়েই রইল।বেশ কদিন থেকেই মেয়েটা এমন করছে।ড্যাবড্যাব করে ছেয়ে থাকে।আমি ওর দিকে তাকাতেই সে চোখ নামিয়ে নিল। সে সুত্র প্রতিপাদন করছে।আমি সেদিকে তাকিয়ে আছে।সুত্রটা প্রতিপাদন করে আমার দিকে ফিরল।এর মাঝে একটু শব্দও করল না।
'
রুমেই ঢুকতেই দেখলাম আরাফাত ডায়েরি লিখছে।ও ডায়েরি লিখে। আমিও! তবে কেউ কখনই কারো ডায়েরি খুলেও দেখি নি।থাক না! তার যেটা অতিগুরুত্ব পূর্ন সেটা তার কাছেই থাক।আমি আসছি দেখেই ছেলেটা ডায়েরিটা লুকিয়ে পেলল।আমি আশ্চর্য হলাম।খুব আশ্চর্য হলাম।কারন এমনটা কখনই হয় নি।ও আমার সামনে বসে ডায়েরি লিখেছে।ও কি লিখছে তা দেখার জন্যে আমি কখনই আগ্রহ প্রকাশ করি নি।আমি কারো ডায়েরি পড়ি না।এটা ও জানে।খুব করেই জানে।তাহলে আমি আসা মাত্রই ও ডায়েরিটা লুকালো কেন? এমন তো ও করে না।প্রশ্নটা মনের গহনে রেখে সাধারণ ভঙ্গিতে রুমে ঢুকলাম।নিজের ডায়েরিটা খুলে লিখা শুরু করলাম।এ সময়টাতে আমরা ডায়েরি লিখি।লিখছি মেয়েটার কথা।ক্লাসের কথা।এবং আরাফাত যে প্রশ্নময় পরিবেশ তৈরি করে আমার মাঝে প্রশ্নের প্রবেশ করিয়েছে সেটাও লিখলাম।তবে রুপার কথা লিখলাম না।সে বিশেষ কেউ নয়।
'
আরাফাত নিশ্চল হয়ে গিয়েছে।সে আর হাসে না।সে আর দুষ্টামি করে না।সে চুপশে গিয়েছে। তার এমন ভাব বড্ড ভাবাচ্ছে তাসফি কে।
ক্লাসে গেলেই আমার মনটা ভালো হয়ে যায়।কারন সেখানে মন ভালো হওয়ার অস্র বিদ্যমান আছে।
হ্যাঁ মেয়েটিও আমার দিকে তাকায়।খুব করে তাকিয়ে থাকে। আমিও তাকাই।মেয়েটার নাম তিথি।তিথি জাহান।বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান।আমি আমার ভালোলাগা নিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকি।সে আমার দিকে তাকাচ্ছে। এতে আমি মহা খুশি। গ্রিন সিগনাল পাচ্ছি।
,
রুপা খুব উত্তেজিত হয় বলল,
:স্যার আপনার কি হয়েছে? আপনি এমন আনমনা হয়ে থাকেন কেন?
ও প্রশ্নটা শুনে আমি বিব্রত বোধ করলাম।আমি সহজ ভাবে উত্তর দিলাম,
:কই কি হবে? কিছু না তো!
ও আরেকটু উত্তেজিত হয়ে বলল,
:না কিছুত একটা হয়েছেই।তা না হলে আপনি এমন পাল্টে যেতেন না।
একটু থেমে মুখের ভঙ্গিমা পাল্টে বলল,
:বলুন না স্যার।কি হয়েছে?
আমি বেপারটা এড়িয়ে যাবার জন্যে একটু কঠোর হয়ে বললাম,
:পড় বলছি? এত কথা বল কেন? জানো না পড়তে বসলে কথা বলতে নেই।
ও একটুও ভয় না পেয়ে বলল,
:না স্যার আপনাকে বলতেই হবে।
আমি আরেকটু কঠোর হয়ে বললাম,
:চুপ কর। পড়তে বলছি।পড়? এত কথা বল কেন?
মেয়েটা একটু ভয় পেল।কিন্তু অদ্ভুত ভাবে কিছুক্ষনের মধ্যে সে ভয়ের রেখাটা কাটিয়ে বলল,
:না স্যার। আপনাকে বলতেই হবে।তা না হলে যে আমার ঘুম আসবে না।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
:ঘুম আসবে না মানে?
ও খুব তাড়াতাড়ি উত্তর দিল,
:আমার মাথায় কোন প্রশ্নের উত্তর না মিললে রাতে ঘুম আসে না।
আমি কিছু বললাম না।ভাবলাম ও এত ইচ্ছা প্রকাশ করছে কেন? আমার এমন অবস্থা দেখে হয়ত।
সে আবার বলল,
:বলুন না স্যার। প্লিজ প্লিজ।
তারপরে তাকে তিথির কথা বললাম।পৃথিবীতে আমিই প্রথম প্রাইভেট টিউটর যে কিনা তার ছাত্রিকে সদ্য প্রেমে পড়া গল্প শুনাচ্ছে।
সে খুব মনযোগ সহকারে শুনল।কথার ফাঁকে একটু কথাও বলল না।
সেদিনের পর থেকে রুপাও আরাফাতের মত নিশ্চল হয়ে পড়ে।সে এখন আর হুট হাট প্রশ্ন করে বসে না।এমনকি একটু কথাও বলে না।মাঝে মাঝে একটু তাকায়।খুব ঘভিরতা নিয়ে তাকায়।আমি সে ঘভিরতা বুঝি না।
আমার দৈনন্দিনের আশপাশটা কেমন জানি পাল্টে যায়।কি হয়েছে।কিছুই বুঝি না।
,
খুব বিষন্ন হয়ে ভার্সিটি গেলাম।আরাফাত আমার সাথে কথা বলে। খুব কথা বলে।সব কথা শেয়ার করে।তবে হাসে না।আগের মত আর হাসতে দেখি না ওকে।খুব ভাবাচ্ছে আমাকে।খুব!
ক্লাস শেষ। আরাফাত চলে গিয়েছে।ওর নাকি শরির খারাপ।আমি পড়ে রইলাম কেম্পাসে। ভাবতে বসেছি। খুব মনযোগ দিয়ে ভাবছি।যেন কিছুই বাদ না পড়ে।হঠাৎ-ই পেছন থেকে কেউ বলে উঠল,
:আমি কি আপনার পাশে বসতে পারি?
আমি তাকাতেই খুব অবাক হলাম।মুখে হাসির রেখা ফুটল।আমার প্রশান্তি আমার সামনে।যার মুখ দেখলেই আমার সব অশান্তি,চিন্তা, গ্লানি দুর হয়ে যায়। সেই তিথি আমার সামনে।আমার কাছ থেকে আমার পাশে বসার অনুমিত নিচ্ছে। কয়েম মিনিটের জন্যে সব ভুলে গেলাম।আমার থেকে ভালো লাগা শুরু করে দিয়েছে।।আমি দেরি না করে বললাম,
:হ্যাঁ! অবশ্যই। বসুন।
ও ধপাশ করে বসে গেল।আমার গা ঘেসে নয়।কিছুটা দুরে।ও মৃদু হেসে বলল,
:আচ্ছা আমরা তো একই ক্লাসে পড়ি তাই না?
:হু।তো?
:না মানে আমরা যেহেতু একই ক্লাসে পড়ি আমরা দুজন তো খুব ভালো হতে পারি তাই না?
আমি মৃদু হেসে
বললাম,
:আমরা বন্ধু হতে পারি।তবে খুব ভালো বন্ধু হতে পারব না।
সে আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করল,
:কেন?
আমি বিরক্তি বোধ করে বললাম,
:আমার একজন খুব ভালো বন্ধু আছে। নাম আরাফাত। আপনি হয়ত তাকে চিনবেন।সব সময় আমার সাথেই থাকে ।সেই আমার ভালো বন্ধু। ও ছাড়া আমি আর কাউকে ভালো বন্ধু বানাতে পারব না।আমি দুঃখিত।
:ওই যে চুলগুলো স্পাই করা,একটু শ্যামলা,চোখে সব সময় ঘভিরতা থাকে সেই ছেলে টা তাই না?
:হুম ঠিক ধরেছেন।সেই।
তিথি আরাফাতের প্রশংসা করল।আমার বিন্দু মাত্রও খারাপ লাগল না।জ্বলল না।বরং বেশ ভালোই লাগল।আমার বন্ধুর প্রশংসা করছে।আমি মনে মনে তাকে নিয়ে গর্ভিত হলাম।
পাশ থেকে তিথি বলে উঠল,
:আচ্ছা থাক, ভালো বন্ধু হওয়া লাগবে না।বন্ধু তো হওয়া যাবে তাই না?
:হুম। তা হওয়া যাবে।
:তা আপনার সেই বন্ধ কই?
:চলে গিয়েছে।ওর নাকি শরির খারাপ।
:ওওও,
,
আরাফাত রুমে এসেই খুব ভাবতে লাগল।খুব!ওর কি হয়েছে সেটা ও নিজেও জানে না।ডায়েরিটা নিল।লিখা শুরু করল।তিথি তো তাসফির সম্পদ।ওর ক্রাশ। ওর ভালোবাসা। ওর স্বপ্ন। সে তিথিকে নিয়ে অনেক কথাই বলবে।তাই বলে আমার মন খারাপ হবে কেন?আমার থেকে খারাপ লাগবে কেন? আমি যখই ওর দিকে তাকাই তখনইই দেখি ও তিথির দিকে তাকিয়ে আছে।আচ্ছা ও তাকালে আমার কাছে খারাপ লাগে কেন? আর মেয়েটাও তো ওর দিকে তাকায়।তাহলে কি মেয়েটাও ওর প্রতি...? তাহলে কি তিথি কে নিয়ে বুনা সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে? তিথির জন্যে যে গড়ে উঠা ক্ষুদ্র ভালোবাসার বালুচর টা কি আবার শুন্যতায় তলিয়ে যাবে। নাহ! আর ভাবা যায় না। এ হতে পারে না।তিথি কে? আমি চিনিও না।তিথি নামের কোন মেয়েকে আমি ভালোবাসি নি। ও আমার বন্ধুর ভালোবাসা।আমার প্রিয় বন্ধুর।যার সাথে আমি দির্ঘ ১৫ টা বছর কাটিয়েছি।যার সাথে আমার সকল দুঃখ কষ্ট শেয়ার করেছি,যে আমার বিপদকালে আমার সাহস যুগিয়েছে তার সাথে এমন প্রতারণা করতে আমি পারব না।
আর লিখতে পারছে না তাসফি। কলম আর চলে না।চোখ গুলো ঝাপসা হতে ওর।কয়েকফোটা নোনরা জল ওর গাল গড়িয়ে পড়ে।মাথায় হাত চলে যায় ওর। ছোট বেলায় পাওয়া সেই আঘাত আবার বেড়ে উঠে।মাথাটা ভন ভন করতে শুরু করে।চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল ও।ওর চার পাশ মনে হয় ঘুরছে। শরিরটা তার কার্যক্রম হারিয়ে পেলছে।খুব পিপাশা লেগেছে ওর। পানির পিপাশা। খুব! কিছুদুর যেতেই পড়ে যাচ্ছিল ও।দৌড়ে এসে খাবারের টেবিলটা ঝাপটে ধরল।পাঁ চলছে না আর। শরিরের কোষ গুলো শিথিল হয়ে আসছে।ওর গা টা কেমন জানি কাঁপছে।কাঁপা হাতে কাচের গ্লাস টি নিল।জগ থেকে পানি ঢেলে গ্লাসটাতে পানি ভরে এক ঢোকে পানি গুলো খেয়ে পেলল।তারপর হাত থেকে গ্লাসটা খাবার টেবিলে পড়ল।এবং পরে ফ্লোরে পড়ে ঝন ঝন শব্দ হল।অনেক গুলো কাচের টুকরো পড়ে আছে নিচে।পুরো রুম কাচের টুকরোয় ভরে গেল।গ্লাসের নিচের মোটা অংশ টা সব ঠিক মত ভাঙে নি।সেটির এক অংশ সোজা ধনুক এর মত দাড়িয়ে আছে।যে কেউ এর উপর পড়লেই সেটা খুব সহজেই তার শরিরের নরম স্থান কে ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাবে।
আরাফাতের চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছে। সে আর পারছে না যুদ্ধ করতে।ভারসাম্য হারিয়ে পেলল।
আব্দুর রাহিম সাহেবের বাড়ির ৪র্থ তলা থেকে একটা জোরে চিৎকার আসল।তাসফি...!!!!! বলে কেউ চিৎকার দিল।অতঃপর সব শান্ত এবং স্থির হয়ে গেল।
,
দ্বিতীয় পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন। ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন। ধন্যবাদ।
"
(বি.দ্র.:গল্পে আপনি যা ভাবছেন তা নাও হতে পারে)
গল্পে বানান ভুল থাকতে পারে।

তাসফি আহমেদ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url