Bangla Golpo: বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে ৩

Bangla Golpo: বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে 

(তৃতীয় পর্ব) 

.
লিলি বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। তার মনে হলো সে কাজটা ঠিক করেনি৷ খুব অন্যায় করে ফেলেছে। তমা তার ছোট বোন। সে তার ছোট বোনকে খুব ভালোবাসে। খুব আদর করে৷ এতো আদর হয়তো সে আর কাউকেই করে না৷ তার সাথে এমন আচরণ করাটা আসলেই ঠিক হয়নি।
লিলির চিন্তার শেষ থাকলো না। তার বুক ফেটে কান্না আসতে চাইলো। সে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে চাইলো৷ অথচ সে কাঁদতে পারলো না। তার চোখে জল নেই৷ শূন্য ভাসা ভাসা চোখ। সমস্তই ফ্যাকাসে। ব্যাথায় ব্যাথায় তার হৃদয়টা যেন পাথর হয়ে গিয়েছে৷ ভীষণ অনুশোচনায় ভুগতে থাকলো সে। শাহেদের উপর থাকা রাগটা তমার উপর ঝাড়া ঠিক হয়নি। যার উপরে রাগ তার উপরই সমস্ত রাগ ঝাড়া উচিৎ।

লিলির ফোন বেজে উঠলো। স্ক্রিনেই তার বাবার নাম। লিলি কল রিসিভ করলো,
-আসসালামু আলাইকুম বাবা। কেমন আছেন?
আসাদ সাহেব এই প্রশ্নটার জবাব না দিয়ে কঠিন স্বরে বললেন,
-লিলি?
লিলি থতমত খেয়ে গেল। কী বলবে ভেবে পেলো না। আসাদ সাহেব আবার বললেন,
-তোর মা বেঁচে থাকতে তমার উপর হাত তোলেনি৷ আমাদের বাসার কেউই আজ পর্যন্ত ওর সাথে বাজে ব্যবহার করেনি৷ আর সেখানেই তুই ওকে চড় মারলি? তোর কতোবড় সাহস?
লিলি কিছু বলল না৷ চুপ করে থাকলো। আসাদ সাহেব বললেন,
-তোর মা মারা যাবার আগে কী বলে গিয়েছে মনে আছে? তোর হাতে তমার ছোট্ট হাত দুটো দিয়ে কী বলেছিল মনে কর তো? তোকে বলেছে না ওর খেয়াল রাখতে? এই তোর খেয়াল রাখা? দু'সপ্তাহে বাসায় নেই আমি৷ তাতেই এতো কিছু হয়ে গেল। আমার তো মনে হয় আমি না থাকলে...
আসাদ সাহেব থেমে গেলেন৷ বাকিটা বলতে পারলেন না। লিলি পাথরের মতো বসে আছে। তার কোনো নড়চড় নেই৷ মুখটা বেশ শক্ত হয়ে আছে৷ আসাদ সাহেব বললেন,
-তোকে একটা কথা বলিনি আমি। তোর আর ওই অকর্মা শাহেদের বিয়ে আমি কেবল ওর কথাতেই মেনে নিয়েছি৷ কে জানে তোরা দুই বই বোন এই অকর্মাটার মাঝে কী পেলি!
লিলির চোয়ালটা আরেকটু শক্ত হয়ে গেল। সে কঠিন স্বরে বলল,
-বাবা, তুমি ওকে এভাবে অকর্মা বলবে না৷ ও মোটেও অকর্মা নয়৷
-হ্যাঁ জানি জানি৷ সে যে কি তা বেশ ভালোই জানি আমি। শোন, তোর ব্যক্তিগত রাগ আমার মেয়ের উপর ঝাড়বি না৷ আর কখনই যেন এমন না হয়৷
-বাবা, একটা প্রশ্ন করি?
-কর।
-আমিও কি তোমার মেয়ে নই?
আসাদ সাহেব খানিকটা নীরব থেকে বললেন,
-তোর বিয়ের পূর্বে তুই আমার মেয়ে ছিলি৷ এরপর থেকে আর নেই৷ লিলি, এই ভাগ্যটা তুই নিজেই লিখে নিয়েছিস৷ আমি তোকে অনেকবার নিষেধ করেছি৷ তুই আমার কথা শুনিসনি৷ অকর্মাটার হাত ধরেছিস৷
-ফোন রাখি বাবা।
-শোন।
-বলো।
-তুই আমার প্রস্তাবটা মেনে নে৷ দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
লিলি ভ্র কুচকে বলল,
-কোন প্রস্তাবটা বাবা?
আসাদ সাহেব খানিকটা চুপ থেকে বললেন,
-অর্নবকে বিয়ে করে নে৷
লিলি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বলল,
-বাবা, শাহেদকে আমি ডিভোর্স দিচ্ছি৷ তার মানে এই না যে আমি ওই অর্নবকে বিয়ে করে নিবো। আমি আর কখনই বিয়ে করবো না বাবা।
আসাদ সাহেব বেশ উচ্ছাসিত হলেন। বললেন,
-তুই অকর্মাটাকে ডিভোর্স দিচ্ছিস নাকি?
লিলির গলা দিয়ে আরেকটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো৷ বলল,
-জি বাবা।
আসাদ সাহেব হাসতে থাকলেন। হাসতে হাসতে বললেন,
-তোর জীবনে এই প্রথম একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিস৷
আসাদ সাহেব হাসতে থাকলেন। লিলি কল কেটে দিলো। চুপচাপ বিছানার উপর বসে থাকলো। পাশেই বাবু ঘুমাচ্ছে৷ বাবুকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না৷ সমস্ত ঘরই অন্ধকার। লিলি এই অন্ধকার চুপটি করে বসে আছে৷ তার মন ঠিক স্থির নেই। সে ঠিক কী অনুভব করছে বুঝতে পারছে না৷ তবে সে মোটামুটি অনুমান করতে পারে যে সে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। ভালো কিংবা খারাপ লাগার পার্থক্য করতে পারছে না৷ তার মনে হলো সে আসলেই পাগল হয়ে যাচ্ছে। তার মস্তিষ্ক ঠিক কাজ করছে না৷ বেঠিক কাজ করছে৷ এই সমস্ত কিছু পেছনে একটাই কারণ৷ সেটা হচ্ছে শাহেদ৷ শাহেদ চৌধুরী।
.
-তমা? শুয়ে গিয়েছিস?
ওপাশ থেকে কোনো জবাব পাওয়া গেল না৷ লিলি চিন্তায় পড়ে গেল। তমা কি ঘুমিয়ে পড়েছে? বেচারি ডিনারটাও করেনি। না খেয়ে ঘুমিয়েছে কি না? লিলির আফসোসের সীমা থাকলো না। তখন ওভাবে বিহ্যাভ না করলেও হতো। এতো কঠিন না হলেও চলতো।
লিলি অন্ধকারে বসে থাকা অবস্থায় তার বাবা তাকে দ্বিতীয়বার ফোন করলেন। তিনি জানালেন, 'তমা না খেয়ে শুয়েছে৷ তাকে খাওনোর ব্যবস্থা করতে।' এটা শোনার পর লিলির অনুশোচনাবোধ আরো বেড়ে গেল। সে জলদি করে তমার দরজার কাছে এলো। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে ডাকল ওকে,
-তমা, শুয়ে গিয়েছিস?
তমার জবাব নেই। লিলি আবার বলল,
-আমি জানি তুমি এখনও ঘুমাসনি। আয়, উঠে আয় বোন৷ আমরা এক সাথে ডিনারটা সেরে নেই। বেশ রাত হয়েছে৷
এবারেও তমার শব্দ পাওয়া গেল না। লিলি এবার কিছুটা ভয় পেয়ে গেল। সে খানিকটা কাঁপাকাঁপা স্বরে ডাকল,
-তমা? প্লীজ এমন করিস না বোন৷ আমার শরীরটা বেশ খারাপ। কিছুই ভালো লাগছে না৷ পাগল হয়ে যাচ্ছি বোধহয়৷ মন মেজাজ খারাপ ছিল বলেই বাজে ব্যবহার করেছি। আমাকে মাপ করে দে প্লীজ।
তমা ওপাশ থেকে ভেজা স্বরে বলল,
-মাপ চাইতে হবে না৷ তুমি চলে যাও। আমি ঠিক আছি।
-তমা, তুই এখনও কাঁদছিস? আমি সরি বলেছি তো!
-তোমার সরি দিয়ে কী হবে হু? কিছুই হবে না। তুমি কি পারবে দুলাভাইকে আবার ফিরিয়ে আনতে? তুমি জানো, তোমার জন্যে কতোটা অপমানিত হয়েছি আমি? উনার জন্যে একটা সারফ্রাইজ গিফটও রেখেছিলাম। অথচ তুমি কী করলে? সব নষ্ট করে দিলে।
লিলি চট করেই কিছু বলতে পারলো না৷ কিছু সময় পর খানিকটা উদ্দেশ্যহীন ভাবে বলল,
-আচ্ছা, আমি তোর ভাইয়াকে কল করছি। আমি ফোন দিলেই দেখবি চলে আসবে৷ ও আমার কথা ফেলতে পারবে না। এই তো আমি ফোন দিচ্ছি।
লিলি সত্যি সত্যিই শাহেদকে ফোন দিলো। উদ্দেশ্যহীন কিংবা অবচেতনে। তার মনের মাঝে এখন একটাই খেয়াল, তমাকে কিছু খাওয়ানো৷ তা না হলে এই অনুশোচনায় মরে যাবে সে৷ অনুশোচনাটা হচ্ছে সুঁইয়ের মতো। মনের কোণে লুকিয়ে থেকে কিছু সময় পর পরই খোঁচা মারে৷ সেই খোঁচায় যে ব্যাথাটার সৃষ্টি হয় সেটা সয়ে নেয়াটা বড় কষ্টকর। তীব্র এক যন্ত্রণার ব্যাপার৷

শাহেদকে প্রথমবার ফোন দিয়ে ব্যস্ত পাওয়া গেল। লিলির মাঝে কোনো ভ্রুক্ষেপ পড়লো না৷ একটা মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই কারো সাথে ব্যস্ত থাকতে পারে ফোনে। কিন্তু কিছু সময় পর আরেকবার ফোন দিতেই লিলি বুঝতে পারলো শাহেদ ব্যস্ত৷ অন্য কারো সাথে ব্যস্ত৷ লিলি ঠিকই বুঝতে পারলো শাহেদ কি নিয়ে ব্যস্ত। কার সাথে ব্যস্ত৷ কারণ এই শহরে রাত বারোটার পর শাহেদকে ফোন দেওয়ার মতো কেবল একজন মানুষই আছে। লিলি নিশ্চিত শাহেদ তার সাথেই কথা বলছে। সে সিদ্ধান্ত নিলো শাহেদকে আর ফোন দিবে না। মোটেও না৷ তবুও সে নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলো না। একটু আগে তমার জন্যে ফোন দিয়েছিল শাহেদকে। এখন ব্যাপারটা ব্যক্তিগত হয়ে গিয়েছে৷ ব্যক্তিগত অনুভূতির হয়ে গিয়েছে। লিলি বুকের ভেতর কেমন জানি অনুভব করলো৷ কেমন ঈর্ষা হলো তার৷ গা জ্বলতে থাকলো যেন। শাহেদ যে এমন করবে সেটা সে বিশ্বাসই করতে পারছে না। এক মূহুর্তের জন্যেও না৷ বেঁচে থাকা আশ্বাসটুকুও যেন লিলি হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে। তার মাথা ঝিমঝিম করতে থাকলো। গা কাঁটা দিয়ে উঠলো যেন৷ রাগে শরীরের চামড়া ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হলো তার। লিলি বেশ কয়েকবার কল দিয়ে ফেললো। প্রতিবারই সেই ব্যস্ততার কথা ভেসে আসছে৷ রাগের চোটে লিলি মোবাইলটা ছুড়ে ফেললো। চাপা একটা শব্দ বেরিয়ে এলো তার গলা দিয়ে। তমা চট করেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলো। যেন সে দরজার আড়ালেই দাঁড়িয়ে ছিল। তমা দৌড়ে এসে বলল,
-কী হয়েছে আপু?
লিলি হু হু করে কান্না করে দিলো। মেঝেতে বসে পড়লো সে। তমাও মেঝেতে বসে পড়লো। বলল,
-আপু? কী হয়েছে বলো না? তুমি এমন কাঁদছো কেন?
লিলি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
-আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছে রে৷ সব শেষ হয়ে গিয়েছে। একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি সর্বহারা হয়ে গিয়েছি।
-এসব কি বলছো তুমি, আপু? একটু স্পষ্ট করে বলো না!
-তুই তোর দুলাভাইকে কল দে৷ কল দিলেই বুঝতে পারবি।
তমা দৌড়ে গেল রুমে। নিজের ফোন দিয়ে দুলাভাইকে কল দিলো। কল দিতেই দেখলো ব্যস্ত বলছে। তমা বলল,
-উনি ব্যস্ত আছেন আপু। একটু পরে ফোন দেই?
-এই ব্যস্ত সেই ব্যস্ত না রে। এটা অন্যরকম ব্যস্ততা৷ ও আরো আগ থেকেই ব্যস্ত হয়ে আছে৷ আমাদের প্রেম, বিয়ে, এসবের আগ থেকেই ও ব্যস্ত ছিল। অন্য কারো সাথে ব্যস্ত। তার কোনো কিছুই আমার ছিল না৷ সেও না৷ তার সমস্তই ওই মেয়েটার জন্যে। ওই কুত্তি মেয়েটার জন্যে৷ নাম টা কি যেন? আলিশা! আলিশা নাম তার৷
তমা ভ্রু কুচকে বলল,
-অালিশা? এটা আবার কে আপু?
-তুই ওকে ফোন দে৷ ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস কর। আমি বলতে পারবো না। আমি কিছুই বলতে পারবো না।
তমা আরেকবার ফোন দিলো। আরেকবার আরেকবার করে বেশ কয়েকবার দেওয়ার পর হঠাৎ খট করে একটা শব্দ হলো। কল রিসিভ হয়েছে৷ তমা বলল,
-ভাইয়া?
শাহেদ কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব নিয়ে বলল,
-কী হয়েছে তমা? এতো ফোন দিচ্ছো কেন? তোমার বোনও দিল। তুমিও দিলে। ঘটনা কী?
-ভাইয়া, আপনি কার সাথে কথা বলছিলেন?
শাহেদ খানিকটা থতমত খেয়ে গেল যেন। বলল,
-এটা আবার কেমন প্রশ্ন তমা?
-যেমনই হোক, উত্তর দিন।
-তমা, তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেন?
-বেশি কথা বলবেন না প্লীজ। আপনি স্পষ্ট করে বলুন তো কার সাথে এতোক্ষন কথা বলছিলেন?
-মানে? তুমি আমাকে এই প্রশ্ন করছো? তুমি?
-কেন? আমার কি সেই অধিকার নেই?
-অধিকার? অধিকার কোত্থেকে আসে বলতো তমা?
-জানি না। আপনি প্লীজ বলবেন কার সাথে কথা বলছিলেন?
-তোমাকে বলতে বাধ্য নই আমি।
-হাহা! বলতে বাধ্য হবেন কীভাবে? আপনার তো বলার মতো মুখটাই নেই৷
-তুমি আমার সাথে এমন আচরণ করছো কেন?
-কারণ আছে৷ অবশ্যই কারণ আছে৷ এতোদিন আমি আপনাকে সাদা মনের মানুষ ভেবেছিলাম। আপনাকে আমার অন্য রকম লেগেছিল। সবার থেকে ভিন্ন৷ তাই আপনাকে এতো পছন্দ করতাম। বিশ্বাস করতাম। অথচ সেই বিশ্বাসের এই দাম দিলেন আপনি?
-কী বলতে চাইছো তুমি?
-আলিশা কে ভাইয়া? তার সাথেই কি এতোক্ষণ কথা বলছিলেন?
-তোমার মাথাটাও কি তোমার বোন খেয়ে ফেলেছে নাকি?
-ভাইয়া? কথাবার্তা সাবধানে বলবেন। কার সাথে কথা বলছেন সেটা ভেবে কথা বলবেন।
-ওহ! এখন তোমার কাছ থেকে আমার কথা বলা শিখতে হবে? সিরিয়াসলি? তমা? তোমরা নিজেকে কী ভাবো বলতো? তোমরা সবাই কি আমাকে পুতুল পেয়েছ যে যেভাবে ইচ্ছে সে ভাবেই আমাকে নিয়ে খেলে যাবে? আমি কিছুই করতে পারব না? সব সয়ে যাবো? এতোটাই স্বস্তা আমি? তোমার বোন আর তোমার বাবার কথা না হয় বাদ দিলাম। তারা আমাকে অপছন্দ করে বলে এমন করছে। অথচ শেষমেশ তারাও তোমাকে তাদের দলে সামিল করে নিল? তুমিও তেমন হয়ে গেলে? বাহ বাহ! ভালো তো! খুবই ভালো। তোমরা আমাকে নিয়ে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছো, অথচ আমার কষ্টটার কথা ভাবছো না৷ আমার ছোট্ট একটা মেয়ে আছে৷ তাকে আজ কতোদিন দেখি না৷ তোমার বোনের সকলে অপমান সয়ে নিয়ে এই মেয়েটাকে একবার দেখবো এমন একটা আশা নিয়ে যাই৷ অথচ প্রত্যেকবারই কী হয়? তোমরা আমাকে একগাদা কথা শুনিয়ে দাও৷ অপমানিত কর। তোমরা কী ভাবো? আমার কোনো আত্মসম্মানবোধ নেই? একটুও নেই? ভুল ভাবছো তোমরা৷ অনেক হয়েছে। আর না৷ এবার সব কিছুর একটা ব্যবস্থা হবে৷ দ্রুতই কিছু করব আমি। তোমার বোনকে খুশির খবরটা দিয়ে দিও।
এতটুকুও বলার পরই কলটা কেটে দিলো শাহেদ৷ তমা রোবটের মতো দাঁড়িয়ে থাকলো। কী বলবে ভেবে পেলো না। ফোনটা এতোক্ষণ লাউডস্পিকারে ছিল। সব কথা লিলি শুনেছে। সে মেঝেতে বসে আছে। তার চোখ ছলছল করছে৷ তার ভীষণ কান্না পাচ্ছে৷ ভীষণ। এই পৃথিবী বুঝি আজীবন তাকে ব্যাথাই দিয়ে যাবে?
.
গল্পঃ বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে
(তৃতীয় পর্ব)
.
চলবে...
.
ভুলত্রুটি মার্জনীয়
-তাসফি আহমেদ।


বাংলা ছোট গল্প। বাংলা গল্প| Love Stories Bangla Choto Golpo | Bangla Valobashar Golpo| Bangla Golpo.



Bangla Golpo-Bangla New Golpo-Bangla Choto Golpo-Bangla Love Story-Bangla Valobasar Golpo-বাংলা গল্প 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url