Love story in bangla - এবং মিহিন | লিখেছেন শাকের আহমেদ তাসফি

Love story in bangla - এবং মিহিন | লিখেছেন শাকের আহমেদ তাসফি


Love story in bangla - এবং মিহিন | লিখেছেন শাকের আহমেদ তাসফি


ভূমিকাঃ Love story in bangla - "এবং মিহিন।" Bangla Love Story - ভালোবাসার গল্প, বাস্তবিক গল্প, ফিকশন, নন-ফিকশন, ভৌতিক, রহস্যময় থ্রিলার গল্পে সমৃদ্ধ আমার এই ছোট্ট ব্লগটি। বাংলা ছোট গল্পের এই অনন্য-অসাধারণ জগতে আপনাকে স্বাগতম। ভীষণ অপূর্ণতায় ভরপুর আমার গল্প গুলো। তাও লিখি। লিখলে মনের মাঝে কেমন অদ্ভুত এক প্রশান্তি মিলে। বিশেষ করে (Love story in bangla) ভালোবাসার গল্প গুলো। কারণ এই ভালোবাসার গল্প গুলোতে আমার এক প্রেমিকা থাকে। কাল্পনিক প্রেমিকা। তারে ভীষণ ভালোবাসি আমি। 
 



Love story in bangla - এবং মিহিন 

তাসফি আহমেদ



ফোন বারবার বেজে চলছে| সাইলেন্ট করে দিলাম|এবার আলো জ্বলছে আর নিবছে|বিরক্তি লাগছে আমার|দেখছে আমি ফোন তুলছি না তবুও কেন বারবার ফোন দিচ্ছে|এমনিতেই মন খারাপ|তার উপর এমন একটা বিরক্তিকর ব্যাপার দেখে সত্যিই আমার খারাপ লাগা আরেকটু বেড়ে গেল|ফোন থামল|যে ফোন দিয়েছে সে নিশ্চই বিরক্ত হয়েছে এবার|কিছু সময় নিরাবতা|আমি বিষন্ন মন নিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে থাকলাম|ফোনটা আবার জ্বলে উঠল|স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম রাফির নাম|ফোন ধরলাম না এবারেও|এমনিতে কেউ ফোন দেয় না|আর এখন এত রাতে প্রায় দশ পনেরো জনের ফোন দেয়া হয়ে গিয়েছে|এতদিন ভালোবাসা নেই আজ হঠাৎ এত ভালোবাসা কেন?এই 'কেন' এবং আমি ফোন ধরছি না 'কেন' দুই কেন'র উত্তর যথাসম্ভব একই হবে|ফোনের ওপাশের মানুষটা কি বলবে সেটা আমার জানা আছে|সবাই একই কথা বলবে|পচাঁবে সবাই|তাদের প্রতিটা শব্দে গা ফুঁড়ে উঠবে|খারাপ লাগবে|আমার উল্টাপাল্টা যুক্তিও কোন কাজে আসবে না|

তাই ফোন ধরছি না|ফেসবুকেও যাওয়া যাচ্ছে না|নিউজফিড গরম অনেক|ফোনটা আবারও জ্বলে উঠল|এবার স্ক্রিনে নামটা মিহিনের|ফোন ধরতে ইচ্ছে হল আমার|মিহিনের সাথে কথা বললে একটু শান্তি পাওয়া যেতে পারে|আমি মোবাইল কানে দিলাম রিসিব করে|ওপাশ থেকে মিহিনের কোমল কণ্ঠ ভেসে এল|
-কি ব্যাপার তাসফি সাহেব!কেমন বোধ করছো এখন?
-মানে?
-মানে তিনটা গোল খেয়ে কেমন লাগছে এখন!এই শুন না আমাকে একটা থ্রিপিচ কিনে দিবা?
-তুমিও!ধ্যাত...
ফোন কেটে দিলাম|ফ্লাইট মুড অন করে চুপচাপ বসে থাকলাম|এবার হাজারবার ফোন দিলেও পাবে না আমায়|ক্রোয়েশিয়ার প্লেয়ার গুলোর উপর ভীষণ রাগ হল আমার|ব্যাটা গোল দিবি দে|তিনটা কেন?একটা দিতে পারলি না|সেই জিত তো তোদেরই হত|তোরা এত নিষ্ঠুর হলি কিভাবে?আবারো কিছু সময় চুপচাপ কেটে গেল|চুপচাপ থাকলে খারাপ লাগা আরো বেড়ে যাবে|কিছু একটা করতে হবে আমায়|ঠিক তখনই রাগ কমানোর একটা উপায় খুঁজে পেলাম|মোবাইলে ফুটবল গেমটা আগ থেকেই ছিল|ফ্রেন্ডলী একটা ম্যাচ শুরু করলাম ক্রোয়েশিয়ার সাথে|আমার দল আর্জেন্টিনা|খেলা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় মেসি গোল দিল|একটু যেন শান্তি পেলাম|কয়েক মিনিট পর আরো একটা গোল|এবার স্বস্তি ফিরে এল|লক্ষ্য ছিল ২১টা গোল দিব|তিনটা ওরা আজ যেটা দিয়েছে তার প্রতিশোধ|আর সাত হল ব্রাজিলের|ওরা একটু বেশিই লাফাচ্ছে|এই সাত আর তিন গুন করে ২১টা গোল দেয়ার চিন্তভাবনা ছিল আমার|দিলামও|নব্বই মিনিটে ২১টা গোল হয়ে গিয়েছে|সময় খানিকটা বাকি থেকে গেল|আমার তরপ থেকে একটা গোল বোনাস দিলাম|সব মিলিয়ে ২২ টা হল|একটু যেন প্রশান্তি ফিরে এল আমার মাঝে|খেলা শেষে মোবাইলটা পাশে রেখে দারুন একটা ঘুম দিলাম|
.
সকাল থেকে আর ফেসবুকে যাই নি|ঘর থেকেও বের হই নি|জুমার নামাজ পড়তে গেলাম|ওখানেও শান্তি নেই|ছোট ভাই,বড় ভাই বা ক্লাসমেটর সাথে হালকা চোখাচোখি হলেই তিন আঙ্গুল উপরে উঠায়|গা জ্বলে যায় আমার|মসজিদেও ছাড়ল না হারামিরা|নামাজ পড়ে বের হয়ে এলাম জলদি|বাসায় ফিরে কোন মতে ভাত খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলাম|
 

ল্যাপটপে একটা মুভি দেখছিলাম|ঠিক তখনই বাসার কলিংবেল বেজে উঠল|আমি উঠলাম না|আম্মু বাসায় আছে|আমি ল্যাপ্টপের দিকে ধ্যান দিলাম|কিছু সময় পরই আমার রুমের দরজায় কেউ নক করল|বসে থেকেই বললাম,
-কে?
কিছু সময় কোন কথা হল না|তারপর মিহিনের গলার আওয়াজ পেলাম|
-আমি!মিহিন...
ও আবার এখানে কেন এল|খাইছেরে!কাল রাতে যে ফোন কাটলাম তারপর তো তাকে আর ফোন দেয়া হয় নি|না জানি আজ আমার কি অবস্থা করে ফেলে|যাই হোক নিজেকে একটু রুক্ষ রাখতে হবে|ওকে বোঝাতে হবে যে আমি ওর উপর রেগে আছি ভিষন|বললাম,
-কেন এসেছো?
-বলব|আগে দরজা খোল|
-খুলবো না|তুমি চলে যাও এখান থেকে|
-যা বলছি কর|পরে এর ফল কিন্তু ভালো হবে না|
-ফল যেমনই হোক|আমি দরজা খুলছি না|তুমি যেতে পার|
এরপর আবারো কিছু সময়ের নিরাবতা|আমি ল্যাপ্টপের দিকে নজর দিলাম|ঠিক তখনই মিহিনের ভেজা গলার আওয়াজ পেলাম|
-তাসফি...তুমি যদি দরজা না খুলো তাহলে আমি সত্যিই কিছু একটা করে ফেলবো|
আমি চমকালাম এবার|এই মেয়ের বিশ্বাস নেই|কি না কি করে ফেলে কে জানে|দরজা খুলে দিলাম|সামনে মিহিনের অস্রুভরা চোখ|খারাপ লাগল আমার|মিহির পিছনে কয়েক হাত দূরে মা দাঁড়িয়ে আছে|উনি অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন|যেন আস্ত গিলে ফেলবে আমায়|আমি দরজা থেকে সরে দাঁড়ালাম|মিহিন ভেতরে ঢুকে সোজা গিয়ে আমার বিছানার পাশে বসল|আমি কিছু বললাম না|চুপচাপ ওর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম|কিছু সময় পর মিহিন বলল,
-ফোন বন্ধ কেন?


-এমনি|সবাই ফোন দিচ্ছিল|যা তা বলছে|তাই ফোন বন্ধ করে রেখেছি|
-খারাপ লাগছিল বেশি?
-হু...
-আমাকে বল নি কেন?
-তোমাকে বলার সুযোগ পেলাম কই!তুমি তো ফোন করেই...
-আচ্ছা আমি সরি|
-থাক সরি বলতে হবে না|
-এই রাগ করেছো বেশি|
-না|রাগ করি নি|
-তোমার চোখ-মুখ বলছে তুমি রেগে আছো|
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম|কিছু বললাম না|আসলেই আমার রাগ হচ্ছে|কাল রাতের কথাটা মনে পড়তেই আমার খারাপ লাগল|রাগ হল|সবাই যেমন তেমন,মিহিন কেন এমন করল|ওর কাছ থেকে এটা আসা করি নি|ওর অন্তত আমার পাশে থাকা উচিত ছিল|মিহিন সরু চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল কিছু সময়|আমি দাঁড়িয়েই থাকলাম|ও বলল,
-তাহলে তুমি তোমার রাগ কমাবে না|আমি এবারেও কিছু বললাম না|অন্যদিকে তাকালাম কেবল|মিহিন উঠে দাঁড়ালো|বলল,-ওকে ফাইন|তুমি থাকো তোমার রাগ নিয়ে|আমি গেলাম|আমি চট করেই পিছন ফিরে তাকালাম|মিহিন চলে যাচ্ছে|অবাক করা ব্যাপার হল ও নিজের হ্যান্ড ব্যাগ ফেলে যাচ্ছে|এখন যদি বলি ব্যাগ রেখে যাচ্ছো|নিয়ে যাও... তাহলে এই মেয়ে আমায় নেহাত খুন করে ছাড়বে|আমি কিছু বললাম না|কেবল চলে যাওয়াটা দেখলাম|আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ও চলে যায় নি|এখুনি আবার ফিরে আসবে|মিহিন সত্যি সত্যি আবার ফিরে এল|এসেই দরজাটা লাগিয়ে দিল|ভীষণ অবাক হলাম আমি|করতে চাইছে কি ও|দরজা লাগিয়েই ও চট করে আমার খুব কাছে চলে এল|বলল,-এত বেশি রাগ করো না|তোমার দল যদি কাল ভালো খেলতো তাহলে আমি মোটেও সে কথা বলতাম না|কি খেলে এরা|
আর মেসি...

-কাটা গায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছো?
-যা সত্য তাই বললাম|
-তোমাকে সত্য বলতে হবে না|যাও ভাগো এখান থেকে|
এই বলে আমি অন্যদিকে ফিরে তাকালাম|মিহিন বলে,
-আমার হবু জামাইটা কি আবারও রাগ করেছে?
-ন্যাকামি করবা না|ভালো লাগছে না এমনিতেই|
-বাব্বাহ|এত রাগ|দেখি এদিকে তাকাও তো!
-না|তাকাবো না|তুমি চলে যাও|
-যাবো না|তাকাতে বলছি|তাকাও|
-যাও তো|ভালো লাগছে না আমার|
-এত যাও যাও করো না বুঝেছো|পরে একেবারেই চলে যাব না ফেরার দেশে|
কথাটা শুনেই আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল|মাথাটা যেন একটু গরমই হল|চট করেই পিছন ফিরে তাকালাম|বললাম,
-তোমাকে না একদিন নিষেধ করেছি এসব না বলতে|বল কেন হু?শুনো এই কথা আমার সামনে আর একবারও বলবা না বুঝেছো|পরের বার বললে মার খাবা কিন্তু|
-আমি কি স্বাদে বলি|তুমিই তো আমায় বারবার যেতে বল|
-বলেছি কারণ...
কথাটা বলে শেষ করতে পারলাম না|তার আগেই আমার চোখ গেল মিহিনের হাতের দিকে|একটা বক্স ওর হাতে|বললাম,
-তোমার হাতে ওটা কি?
নিহিন যেন চমকে উঠল|চট করেই হাতটা পিছনে নিয়ে গেল|খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে অভিমানি কন্ঠে ও বলল,
-কিছু না|তোমার জানতে হবে না ওটা কি|

ঠিক তখনই আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল|আমি মাথায় হাত দিলাম|এটা কি করলাম আমি!খারাপ লাগতে থাকল ভীষণ|আমি মন খারাপ করে বিছানার পাশে বসে পড়লাম|মিহিনের সাথে খেলার আগে একটা ঢিল হয়|ঢিলটা মিহিনই করেছে|আমি ভাবতেও পারি নি ও এমন একটা ঢিল করবে|তবে আমার উপরে জেদ করেই যে ও ঢিলটা করেছে তা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি|আমি আর্জেন্টিনাকে নিয়ে একটু বেশিই বলছিলাম|আর্জেন্টিনার গুনগান নিয়ে একটু বেশিই কথা শুনিয়েছি ওকে|তারউপর ওর প্রিয় দলকে বেশ পঁচালাম|তখনই রেগে গিয়ে ও ঢিলটা করে|ঢিলটা হল যদি আর্জেন্টিনা জিতে যায় তাহলে ও আমাকে প্রথমবারের মত জড়িয়ে ধরে কিস করবে|আর যদি হেরে যায় তাহলে ওর পছন্দের একটা হাত ঘড়ি ওকে কিনে দিতে হবে এবং সারাদিন ওকে নিয়ে ঘুরতে হবে|আরো একটা কন্ডিশন দিল ও|ওর সাথে যতক্ষণ থাকব ততক্ষণ ওর হাত ধরে থাকতে হবে|এক মূহুর্তের জন্যেও ছাড়া যাবে না|আমার খুশি দেখে কে!খুশিতে ঢিলকা ওকে করলাম|ঢিল অনুযায়ী ওকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা|আমি যাই নি|উল্টা রাগ করে বসে আছে|আর পাগলি মেয়েটা এসেছে আমার রাগ ভাঙ্গাতে!আমি মাথা নিচু করে বসে থাকলাম|নিজের কাছেই খারাপ লাগছে এখন|মিহিন কিছু বলল না|চুপচাপ আমার পাশে এসে বসল|বক্সটা খুলতে খুলতে বলতে লাগল,
-কেউ আমাকে বুঝে না|একটু না|কথা দিয়েও কথা রাখে না|আবার রাগ করে বসে থাকে|আর সেই রাগ আমাকেই ভাঙ্গাতে হয়|মানুষ এমন হয় কিভাবে?ওর প্রতিটা কথা আমার হূদয়ে লাগল|প্রচন্ড খারাপ লাগা আঁকড়ে ধরল আমায়|কি করবো ঠিক বুঝতে পারলাম না|চুপচাপ বসে থাকলাম|

মিহিন বক্সটা খুলে একটা ঘড়ি বের করল|আমি আবার চমকালাম|চোখে জল জমতে থাকল খুব জলদিই|ও আমার হাতটা নিজের বাম হাতে নিল|ঘড়ি পরাতে পরাতে ও বলল,
-কেউ ভালোবাসে না আমায়|কেউ না|আমার রাগ অভিমানের দাম দেয় না|কেবল আমাকেই ভালোবাসতে হয়|রাগ অভিমানের দাম দিতে হয়|আমি কিছু বললাম না|কেবল কালো কালারের ঘড়িটার দিকে চেয়া থাকলাম|আমার মনে হল আমার দেখা সেরা সুন্দর ঘড়ি এটা|এত ভালো লাগল যে বলে বুঝাতে পারবো না|আমি মিহিনের দিকে তাকালাম|ততক্ষণে আমার গাল বেয়ে ক'ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল|মেয়েটা কি মায়াময় চোখে আমার দিকে চেয়ে আছে|ওর চোখে নোনা জল খেলা করছে|আমার এত ভালো লাগল যে বলে বুঝাতে পারবো না|আমার কাছে কেবল মনে হলে পৃথিবির সেরা সুন্দর দৃশ্য এর মধ্যে এটি একটি|মেয়েটা হুট করেই বলে উঠল,
-এই দেখো মানুষটা এখন কান্না করছে|এখন আমাকেই গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে হবে|সে কখনই নিজে থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরবে না|জানি তো আমি|মানুষটাকে বেশ জানা আছে আমার|আমি ওর কথা শুনে চট করেই হেসে দিলাম|বললাম পাগলি একটা|তারপর দেরি না করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম|ও বেশ শক্ত করে আমায় জড়িয়ে ধরল|বলল,
-শুন এত বেশি রাগ করবা নাকখনো|তুমি রাগ করে কথা না বললে আমার এত খারাপ লাগে যে বলে বুঝাতে পারবো না|জানো আজ পুরো দিন কত কষ্টে গেছে আমার|
-আচ্ছা|আর কখনো বেশি রাগ করবো না|আচ্ছা এখন চল|
-কোথায়?
-ঘুরতে যাবো|আজ আমরা অনেক্ষণ ঘুরবো ঠিক আছে?
-না|এখন যাবো না|আমার তোমাতে জড়িয়ে ধরতে খুব ভালো লাগছে|
-না গেলে কিন্তু আমি আবার মন খারাপ করবো|

-তার দরকার হবে না|যাবো আমি|তবে তার আগে একটা কিছু করতে হবে|আমি চমকালাম|বললাম,
-কি করবে আবার|ও কিছু বলল না|আমার দিকে আরেকটু সরে এল|নিজের মুখটা আমার মুখের খুব কাছে নিয়ে এল|তারপর আলতো করে আমার ঠোটে চুমু খেলো ও|আমার কেবল মনে হচ্ছিল আমি এই মাত্র প্রশান্তির কোন দেশে পাঁ দিলাম|পাঁ দিতেই এক ঝাক প্রশান্তি পোকা এসে আমায় জড়িয়ে ধরল|চুমু কতক্ষণ পর্যন্ত স্থাই ছিল সেটা ঠিক জানা নেই|যখন মিহিন আমার দুঠোট ছেড়ে দিয়ে ঠোটের কোনে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,
-আসা করি খেলা নিয়ে আমাদের মাঝে আর জগড়া হবে না|
-অবশ্যই হবে|হলেই তো আমার লাভ|
-দেখা যাবে|কাছে আইসো|তোমার লাভ ছুটাবো|আর শুন বের হওয়ার আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিও|ঠোটের কোণে লিপষ্টিক লেগে আছে|আমি বাসায় যাচ্ছি|হালকা সাজগোজ করবো আরকি|আমাকে বাসা থেকে পিক কইরো|কেমন!আমি কেবল বোকার মত তাকিয়ে থাকলাম ওর দিকে|কোন মতে বললাম,-হু|ঠিক আছে|-এই তো|আমার লক্ষি বাবুটা|গেলাম|ও তো গেল গেল সাথে আমাকেও নিয়ে গেল|না মানে এখনো নিয়ে যায় নি|তবে খুব সম্ভব বিয়ের পর আমার জিবনটাকে নরক বানিয়ে ছাড়বে|এই আরকি|
.

ভুলত্রুটি মার্জনীয়
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Shawal Hossain Tamim
    Shawal Hossain Tamim ২ নভেম্বর, ২০২০ এ ১১:০৪ PM

    Awesome

Add Comment
comment url