গল্পঃ খনিকের ভালোবাসা ১

গল্পঃ খনিকের ভালোবাসা 



"আচ্ছা আপনি প্রতি দিন ঠিক রাত ১২ টা বাজে ছাদে আসেন কেন,,,,,,? "
আমি তাসফি আহমদ। পড়াশুনা শেষ করে একটা সরকারি জব করতেছি।সরকারি জব বলতে আমি একজন মেজিস্ট্রেড আর কি।সবই রুহির অবদান। ।প্রতি দিনের মতন আজকেও আমি ঠিক রাত ১২ টায় সময় চাদে আসলাম।মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা কষ্ট গুলোর ভাগ চাঁদ কে দেই।আবার যখন চাঁদ অভিমান করে আসে না তখন নিস্তব্দ রাতের প্রকৃতিই হয় আমার কষ্টের অংশীদার ।আবার চাঁদ আসলে চাঁদ ও রাতের প্রকৃিত দুজনেই আমার কষ্ট গুলাকেই ভাগ করে নেয়।শুধু এরাই আমার কষ্ট গুলোর কথা জানে।আর কেউই জানে না।কেউ জানতেই চায় নি।জানতে চাইবেই বা কেন?আমি কখনওই কাউকে বুজতে দেই নি যে আমি কষ্টে আছি।
 আমার মা কিভাবে জানি বুঝে পেলত।কিন্ত আমাকে কখন কিছু জিজ্ঞাস করে নি।তবে এখন কেউ একজন আমার কষ্ট গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি বলতে নারাজ।উপরের কথাটা যে জিজ্ঞাস করল ওর নাম হচ্ছে তানহা। কয়েক মাস হল এই এলাকাতেই আমাদের পাশের বিল্ডিং টা তে উঠেছে।ওর বাবা মা খুব ভাল।কিন্তু ও আস্তো একটা ঝগড়াটে মেয়ে।এই জন্যে আমার খুব বিরক্ত লাগে ওকে। ও যে ঝগড়াটে এটা বুজেছি আমি প্রথম দিনেই।যাক সে দিকে আর যেতে চাই না।এমনি তে আছি কষ্টে তারউপর এই মেয়েটা আসার পর থেকে আমার লাইফ টা পুরা তামা তামা করে দিছে।কিভাবে জানি আমার মা বাবা কে পটিয়ে আমাকে দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করায়। যেমন কিছু প্রয়োজন হলেই আমার কাছে চলে আসবে।আর যদি আমি তার কথা না শুনি তা হলে আমার মা কে বলে দিবে।পরে আমাকে বাধ্য হয় যেতে হয়।শপিং এ যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া এই সেই।আমি ছিলাম খুব রাগি ও বদ মেজাজি। তাই মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে ওকে অপমান করতাম।কিন্তু আজিব বেপার হল ও কিছুই মনে করত না।ও আমার পারসনাল লাইফে ইনবলব করা শুরু করে দিছে। ও কি চায় আমার কাছে।ভালবাসা!! হাহাহা।আমি তো ভালবাসতেই জানি না।ভালবাসা কথাটা ভেবেই আমি আমার অজান্তেই হেসে উঠলাম।ও আমার হাসি দেখে একটু ভয় পেয়ে আমাকে জিজ্ঞাস করল
:কি হল কিছু বলছেন না কেন?
আমি ভাবনার রাজ্য হতে বের হয়ে ওর কথার উত্তর না দিয়ে বললাম
:আপনি এত রাতে ছাদে কি করতেছেন?
:আগে আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।
:আমি দিতে বাধ্য নই।
:আপনাকে দিতেই হবে।
:জোর করছেন কেন?বলছি না বলতে পারব না।(রাগি ভাব)
:কেন?বলতে পারবেন না কেন?আমার উত্তর চাই।আপনি আমার সাথে ঠিক মতন কথা বলেন না।কত দিন ঘুরতে গেলাম।কিন্তু আপনি একটা কথাও বললেন না।কেন?শপিং এ গেলেও আমার থেকে দুরে দুরে থাকেন। কথা বলেন না।কেন? আমি কি খুব খারাপ।
:আজিব বেপার আপনি খারাপ হবেন কেন? আর আপনি যা জানতে চাচ্ছেন সেটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত বেপার।
:সে যাই হোক আপনাকে আজ বলতেই হবে।কি এমন হয়েছে যে আপনি সবার সাথে হাসা হাসি করেন।কিন্তু আড়ালে বিষন্ন অবস্থায় তথাকেন। আরএই সময়ে চাদে এসে বসে থাকেন।কেন?
:আমার বলতে ইচ্ছা করতেছে না।
:না আপনাকে বলতেই হবে।
:আচ্ছা তা হলে শুনুন।কিন্তু আমি যা বলব সেটা যেন আর কেউ না জানে।আপনাকে ওয়াদা করতে হবে।
:এই আপনার মাথায় হাত রেখে বললাম।প্লিজ বলেন।আমার আর কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।
:আমার কষ্ট আপনার সহ্য হচ্ছে না মানে কি।
:সেটা আপনাকে পরে বলব আগে আপনি আপনার কথা বলেন।
:আচ্ছা।তাহলে শুনুন
!!!!!!!!!!!!!
আরো কয়েক বছর আগের কথা............
চলবে...
.
-তাসফি আহমেদ  
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url