ভালোবাসার গল্পঃ আমার কেউ নেই

বাংলা ছোট গল্প Bangla Love Stories Bangla Choto Golpo  Bangla Valobashar Golpo Bangla Golpo


ভালোবাসার গল্পঃ আমার কেউ নেই

তাসফি আহমেদ


ফোনের ওপাশ থেকে চাপা কান্নার আওয়াজ ভেসে এল।ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কান্না করছে ও।এই মেয়েকে নিয়ে যে কই যাই? কিছু হলেই কেবল কান্না করতে থাকে।এ ছাড়া আর কিছুই পারে না সে।তা এখন আবার কি হল কে জানে।আমি কোন রকমে ঘুম জড়িত কন্ঠে বললাম,
:কি ব্যাপার! তুমি কাঁদছ কেন?
ও পাশ থেকে ভেঙ্গা কন্ঠে রুপা বলল,
:তুমি আমাকে একটুও ভালোবাস না।একটুও না।তোমার সাথে আর কথা নেই।
:ওমা! আমি আবার কি করেছি?
:কি কর নি সেটা বল!
:আহা কি ভুল করেছি বল না গো?
:চুপ! একদম চুপ! কথা বলবা না আর আমার সাথে।বাই।
এই বলে ফোনটা টু টু টু শব্দ করে কেটে গেল।আশ্চর্য! কি হয়েছে এখন আবার।ধুরর! কি যে করি? আমি ওকে আবার ফোন দিলাম।ওপাশ থেকে মিষ্টি মধুর কন্ঠ ভেসে এল।
"আপনার ডায়াল কৃত নাম্বারটি এই মূহুর্তে বন্ধ আছে..."
আমার বিরক্তির মাত্রাটা আরেকটু বেড়ে গেল।এমনিতেই অফিসের কাজ করে ক্লান্ত।তাই বাসায় এসেই খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুমটাও লেগে এসেছে।তারপরেই রুপার ফোন।ঘুমটাই উধাও হয়ে গেল।এখন? এখন তো মহারানি কোন এক অজানা কারনে রেগে আটখানা! আরে একবার রেগে গেলেই হয়েছে।ফোন বন্ধ করে বসে থাকবে।আর ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কান্না করবে।কিন্তু রাগ উঠার কারনটা কি? আমি তো কোন ভুল করি নাই।তাহলে মহা রানি এমন ব্যবহার করল কেন?
আমি আবার শুয়ে পড়লাম।ঘুম ঘুম চোখে ভাবতে লাগলাম কি এমন কারন যে কারনে উনি রাত বারোটা বাজে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিল।ঘুমটা লেগে আসবে এমন সময় হুট করে "বারোটা" শব্দটা আমার মনের মাঝে একটা নাড়া দিয়ে উঠল।ওহহ! সিট! আমি এটা কি করলাম।এই জন্যেই তো মহারানি রেগে আছেন। লাপ দিয়ে কম্বল থেকে বের হলাম।চাদুরটা নিয়েই বেরিয়ে গেলাম।
.
বাইরে কনকনে শীত।চারদিকে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে। সেই কুয়াশা ভেদ করে আমি এগিয়ে চলছি রুপাদের বাড়ির দিকে।শীত লাগছে ভীষন। কানের পাশ দিয়ে শোঁ শোঁ করে শিতল বাতাস বিয়ে যাচ্ছে।আমি শিহরিত হয়ে উঠছি সেই বাতাসে।হলুদ আলোয় মিশে যাচ্ছি আমি। এগিয়ে যাচ্ছি প্রিয়তমার মন জয়ের লক্ষ্যে।
.
রুপাদের বাসার সামনে আসতেই দেখলাম রুপার রুমে আলো জ্বলছে। যা ভেবেছি তাই।ও এখনও ঘুম যায় নি। বসে বসে কান্না করছে নিশ্চই। আমি ফোন দিলাম।ফোন বন্ধ।আবার দিলাম।নাহহ! ফোন বন্ধ করে রেখেছে সে।এখন কি করি? আমি ফোন দিতেই থাকলাম।দেখি কতক্ষণ সে ফোন না ধরে থাকে।নাহহহ! রুপা আর ফোন ধরল না।আমি মন খারাপ করে বসে রইলাম রাস্তার পাশে।ঠিক তখনই রুপা ফোন আসল।আম হস্তদন্ত হয়ে ফোনটা ধরলাম।বললাম,
:কি ব্যাপার! ফোন বন্ধ করে রেখেছ কেন?
ও ভেজা কন্ঠে বলল,
:তোমাকে বলব কেন? আমি বন্ধ করেছি সেটা আমার ব্যাপার। আর তোমাকে না বলেছি ফোন দিতে না।এত ফোন দিচ্ছ কেন?
:ওমা! আমি কি তোমাকে ফোন দিয়েছি নাকি? আমি আমার জানু কে ফোন দিয়েছি।
:তাহলে ফোন আমার কাছে আসছে কেন? আপনার জানের কাছে কেন যায় নি?
:হা হা।আরে বোকা! তুমিই তো আমার জান।
:হুহ।ন্যাকা! ফোন রাখ!
:সত্যিই রাখব?
:হুম।রাখ।
:আচ্ছা।তাহলে আর কি করার।কেকটা তাহলে তোমাদের পাশের বাসার মিরাকে খাওয়াতে হবে।ওর সাথেই খেয়ে যাই।ওকে ফোন দিলে ও দৌড়ে আসবে কেক খেতে।রাখি।বাইইই!
আমি ফোনটা কেটে দিলাম।ফোন কাটতেই দেখলাম রুপার রুমের বারান্দার দরজা খুলে গেল।বারান্দার গ্রিলের সামনে দাঁড়িয়ে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষন।ও হয়ত ঠিক বিশ্বাস করতে পারে নি এটা।চাঁদের আলোয় ভরপুর এই বিশ্ব।সেই আলোর কিছুটা রুপার মুখে পড়ছে।আমার কেন জানি মনে হল রুপার চোখের কোনা চিকচিক করছে।চাঁদের আলো পড়ে চিকচিক করছে।কান্না করছে নিশ্চই। খুশিতে নাকি দুঃখে।
আমি সাথে সাথেই ওকে ফোন দিলাম।ও সাথে সাথেই ধরল।আমি কিছুটা কঠিন গলায় বললাম,
:যাও! রুমে গিয়ে শুয়ে থাক।খবরদার যদি নিচে নেমে আসছ।তাহলে তোমার খবর আছে।আমি মিরা কে ফোন দিব।ও আসলে একসাথে কেক কাটব।তুমি এসে সমস্যা করবা না।
এ কথা বলতেই দেখলাম রুপা রুমে ঢুকে গেছে।ফোন এখনও কাটে নি।ও বলল,
:খবরদার! ওই মেয়েকে ফোন দিবা না।তাহলে তোমাকে যে কি করব সেটা ঠিক তুমিও বুঝতে পারবে না।
:তোমার কি? আমি ফোন দিব। তোমাকে আসতে না করছি আসবা না।ব্যস!
:দাঁড়াও।আসছি আমি। দেখি তুমি কি করতে পার?
এতটুকু বলে থেমে গেল রুপা।আমি ওপাশ থেকে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম।তারপর হস্তদন্ত হয়ে সিড়ি বেয়ে নামার আওয়াজ। আমি আবার ওকে বললাম,
:তোমাকে কিন্তু আসতে না করেছি রুপা।
এ কথা বলার পরেই ওপাশ থেকে ফোনটা কেটে দিল।আর একটা শব্দও এল না।এর কিছু সময় পরই রুপাদের গেইট খোলার আওয়া পেলাম।তাকাতেই দেখলাম রুপা গেইট খুলে বের হচ্ছে।গেইট খুলেই দৌড়ে আমার দিকে আসল।এসেই বলল,
:কি! সমস্যা কি তোমার?
আমি কিছু বললাম না।চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম।এমন ভাব করলাম যেন আমি কিছুই শুনি নি।ও আবার বলল,
:অ্যাই! তোমাকে যে আমি কিছু বলছি শুনতে পাও নি?
আমি এবারেও কিছু বললাম না।আবারও চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম।এবার ও আমাকে ওর দিকে ফিরাল। আবার বলল,
:কি হয়েছে? এমন করছ কেন তুমি?
আমি ওর দিকে ফিরলাম।কিছুটা কড়া দৃষ্টিতে তাকালাম।এমন ভাব করলাম যে
আমি ওকে চিনিই না।বললাম,
:কি ব্যাপার! এমন করছেন কেন? এই রাতের বেলায় একটা ছেলেকে এভাবে ডিষ্টার্ব করার কোন মানেই হয় না।
:কিহ! আমি তোমাকে ডিষ্টার্ব করছি?
:তা নয়ত কি? কোত্থেকে আসছেন আপনি আপু? এই রাতের বেলা এখানে কি করছেন? যান তো? অন্য কোথাও যান।আমি আমার জানুর জন্যে অপেক্ষা করছি।খামখা এখানে থেকে ডিষ্টার্ব করবেন না।আপনাকে আমার সাথে দেখলে আমার জানু রাগ করবে।যান যান! দ্রুত বিদায় হন।
কথা গুলো এক সাথে বলে ফেললাম।কিন্তু কথা গুলো বলার সময় ওর দিকে একটুও তাকালাম না।কারন ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি কিছুই বলতে পারতাম না।কিছু সময় পার হয়ে যাবার পরও যখন দেখলাম রুপা কিছু বলছে না তখন কিছুটা আড়চোখে ওকে দেখলাম।দেখলাম ও দুহাত বুকের উপর ভাঁজ করে আমার দিকে দিকে তাকিয়ে আছে।এবার আমি একটু ভালো করে ওর দিকে তাকালাম।একেবারে সরাসরি যাকে বলে আরকি! তাকাতেই দেখলাম সে সরু চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।চোখ গুলো একটু একটু ছোট হচ্ছে।নাকটা যেন একটু ফুলছে আবার চুপশে যাচ্ছে।মুখটা খানিকটা লাল হয়ে যাচ্ছে।আমি ঠিকই অনুমান করতে পারছি যে রুপা রেগে যাচ্ছে।আর যদি এই মেয়েটা একবার রেগে যায় তাহলে আমাকে একেবারে আলুর ভক্তা বানিয়ে ফেলে। আমি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে ওর দিকে একটু সরল চোখে তাকালাম। যেন আমি কিছুই করি নি।একেবারে নিষ্পাপ। বললাম,
:কি ব্যাপার! এভাবে তাকিয়ে আছ কেন? আমি কি কিছু করেছি নাকি?
:আরে মশাই! একটু আগেই তো আমাকে চিনতে পারছেন না।আপনি আপনি করে বলছেন।আবার আপুও ডেকেছেন। এখন আবার কি হল! একেবারে তুমি করে ডাকছেন যে?
:ইয়ে মানে হল কি। আসলে আমি একটু মজা করছিলাম আর কি? তুমি কিছু মনে করিও না প্লিজ।
:ও আচ্ছা।মজা করছিলে।তাই না।
:হ্যাঁ! হ্যাঁ! তাই।মজা করছিলাম আরকি?
:নিকুচি মারি তোমার মজার।একে তো আজ আমার জন্মদিন সেটা ভুলে গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছ।তারউপর এখানে এসে আবার এমন ভাব করছ। ভাবছি তোমায় মাপ করে দিব।এখন আর সেটা হচ্ছে না।কোন মাপ নেই।দাঁড়াও।দেখাচ্ছি তোমায়।মজা কাকে বলে।
আমি খানিকটা ভয় পেয়ে গেলাম।একবার ভাবলাম দৌড়ে পালাব।পরে ভাবলাম নাহহহ! থাক।ওর হাতে মাইর খেতেও বেশ মজা।আমি হাতে কেক নিয়ে বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকলাম। ও আমার দিকে আরেকটু এগিয়ে এল।আমার কেন জানি একটুও ভয় করল না।বরং বেশ ভালোই লাগল।ও এগিয়ে এসেই হাত থেকে কেকটা নিয়ে নিল।বলল,
:আগে কেক কাটি তারপর তোমার খবর করব আমি।
আমি মুখ কালো করে বললাম,
:আচ্ছা ঠিক আছে।
:অ্যাই!অ্যাই তাসফি! খবরদার মুখ কালো করবা না।তুমি জানো তোমায় এই ভেশে কতটা বিচ্ছিরি লাগে।একদম মুখ কালো করবা না।হাস! হাসি হাসি ভাব করে রাখ।
আমি ঠিক তাই করলাম।ধুরর! মাইর খাইলে খাব। সেটা পরে খাব।আগে তো কেক খেয়ে নি।তাই একটা হাসি দিলাম। তবে এমন ভাব করলাম যেন আমার মন এখনো খারাপ।
.
রাস্তার পাশে বসেই কেকটা কাটলাম। কেক কেটে প্রথমে আমাকে খাওয়াল।তারপর আমি ওকে খাইয়ে দিলাম।কেক কাটাকাটির পর্ব শেষ। এবার আমার মাইর খাওয়ার পালা।কিন্তু রুপার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মাঝে আমাকে মাইর দেওয়ার কোন লক্ষ্যনই নেই।যেন কিছুই হয় নি।চুপচাপ বসে আছে ও। আমার পাশে।কিছুটা দুরে।ওকে দেখে মনে হচ্ছে বড্ড খুশি ও।যেন রাজ্যের খুশি ওর মাঝে বিরাজ করছে। প্রানবন্ত হয়ে বসে আছে।কিছু সময় পর পাশ ও থেকে বলল,
:ওফ্! কি শিতরে বাবা।শিতের জামাটাও আনতে ভুলে গেছি।
কথাটা ও অন্য দিকে তাকিয়ে বলল।যেন আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে।আমি রুপার দিকে তাকাতেই দেখলাম ও আসলেই শিতের জামা গায়ে দিয়ে আসে নি।জড়সড় হয়ে বসে আছে।নিশ্চই খুব শিত লাগছে।আমি আসলে কি! এটা যে কেন আগে খেয়াল করলাম না! সত্যিই! আমি আসলেই কেমন যেন।বেখেয়ালি! আমি রুপার পাশে গিয়ে বসলাম। অবশ্য কিছুটা দূরত্ব রেখে বসেছি।নিজের চাদুরের কিছু অংশ ওর দিকে এগিয়ে দিলাম। ও সেটা গায়ে জড়িয়ে নিল।তবে আমাদের মাঝে কিছুটা ফাঁক ছিল।হুট করেই রুপা আমার দিকে রাগি চোখে তাকাল।বলল,
:গাধা একটা!
এই বলে ও ফাঁকা জায়গাটা মেরে বসল।একেবারে আমার গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসল।ওর গা হতে মনোমুগ্ধকর একটা গ্রান আসছে।যা আমাকে বারবার মাতাল করে তো।রুপার প্রতি আরো আকৃষ্ট করে।ওকে আরো ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।আমার কেন জানি হুট করেই খুব ভালো লাগতে শুরু করল।এক অদ্ভুত শিহরন হতে লাগল।অনন্য সেই শিহরন। ভাষায় অপ্রকাশ্য। রুপা আমার চাদুরটা গায়ে জড়িয়ে আমার বাহুতে মাথা রাখল। ওকে দেখে মনে হচ্ছে যেন সে বড্ড খুশি।রাজ্যের খুশি ওর মাঝে বিরাজমান।তারপর আমার চাদুরটার গ্রান নিতে থাকল।চোখ বুঁজে বেশ কয়েকবার গ্রান নিলও।তারপর বলল,
:জানো! তোমার গায়ের গ্রানটা না আমার বড্ড ভালো লাগে।
আমারও রুপার গায়ের গ্রানটা ভালো লাগে।ভীষন ভালো লাগে।আমাকে মাদকাইত করে তুলে।যেন ইচ্ছে হয় বারবার ওর ভালোবাসায় হারিয়ে যায়।ওকে নিয়ে ভালোবাসার অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।ও আবার বলল,
:কি হল! কিছু বলছ না কেন?
:জানো! আমারও না খুব ভালো লাগে।
ও বাহু হতে মুখ উঠিয়ে বলল,
:কি ভালো লাগে?
আমি কিছু সময় ওর ঠোটের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।ঠিক তখনই ও হয়ত বুঝে গেছে আমার কি ভালো লাগে।তবে কিছু বলল না।আমি ওর ঠোটের দিকে তাকিয়ে বললাম,
:তোমার ওই দু ঠোটের ছোঁয়া।
ও কিছুটা লজ্জা পেল।একেবারে লাল হয়ে গেল। চাঁদের আলো পড়ে সেটার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।রুপাকে সুন্দর লাগছে। খুব সুন্দর লাগছে।পুরো বিশ্বের সকল সুন্দরি মেয়েকে যদি ওর পাশে দাঁড় করানো হয় তাহলে আমি ওকে সেরা সুন্দরী বলে সিলেক্ট করব।আমি মাদকাইত হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ওর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম।লজ্জা কাটিয়ে রুপা বলল,
:এত কষ্ট করে এসেছ।একটা কিস তো
পেতেই পার।তাই না?
আমি কিছু সময় অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।বলে কি এই মেয়েটা।অবাক ভাব কাটিয়ে উঠার আগেই রুপা চট করে নিজের দু খানা ঠোট আমার ঠোটের মাঝে লাগিয়ে দিল।তঝনই আমি যেন শক খেলাম।পুরো গায়ের লোম যেন দাঁড়িয়ে গেল।বুকের ধপ্ ধপ্ শব্দটা যেন আরো বেড়ে গেল।পুরো গা যেন শিউরে উঠল। আরে কি করছে এই মেয়েটা। আমাকে কি মেরে ফেলবে নাকি?
ওরা দুজনেই হারিয়ে গেল ভালোবাসার অতল গহ্বরে। যেখানে রুপা আর তাসফি ছাড়া কেউ নেই।সত্যিই! আর কেউ নেই।

ভুলত্রুটি মার্জনীয়
-তাসফি আহমদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url